রাজ্যসভায় ভোটই চান বিরোধীরা

লোকসভায় নোট নিয়ে বিতর্ক শুরু

নোট-তর্কে কৌশল বদল করলেন বিরোধীরা। ভোটাভুটি না হলে নোট বাতিল নিয়ে লোকসভায় কোনও আলোচনা হবে না, এই অনমনীয় অবস্থান থেকে পিছু হটলেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৩:৫০
Share:

পেটিএমে কাঁকড়াও। সোমবার সল্টলেকের একটি মেলায় শৌভিক দে-র তোলা ছবি।

নোট-তর্কে কৌশল বদল করলেন বিরোধীরা। ভোটাভুটি না হলে নোট বাতিল নিয়ে লোকসভায় কোনও আলোচনা হবে না, এই অনমনীয় অবস্থান থেকে পিছু হটলেন তাঁরা। চলতি অধিবেশনের শেষ প্রহরেও যাতে নোট বাতিলের জেরে মানুষের অসুবিধার বিষয়টি সংসদে নথিভুক্ত করা যায়, সে জন্য আজ ঘুরপথে আলোচনায় রাজি হয়ে যান বিরোধী সাংসদরা। তবে রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় ভোটাভুটির প্রশ্নে এখনও অনড় তাঁরা।

Advertisement

নোট বাতিলের পরে প্রায় মাসখানেক কেটে গেলেও বৈধ নোটের আকালের জেরে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। আর এই ক্ষোভকে মূলধন করেই সরকারকে চাপে রাখতে সংসদ থেকে সড়ক— সর্বত্র আন্দোলনে নেমেছেন বিরোধীরা। চলতি অধিবেশন শুরুর পর থেকেই তাঁদের দাবি ছিল, নোট বাতিল নিয়ে সংসদে ভোটাভুটি-সহ আলোচনা করতে হবে। কিন্তু তাতে রাজি হননি মোদী-অরুণ জেটলিরা। আর এই টানাপড়েনে গত কুড়ি দিন ধরে কার্যত থমকে ছিল সংসদের অধিবেশন।

গত শুক্রবার প্রথম অবস্থান নরম করার ইঙ্গিত দেন বিরোধীরা। আর আজ বিরোধীদের তুমুল হইচইয়ের মধ্যেই টিআরএসের সাংসদ এ পি জিতেন্দ্র রেড্ডি নোট বাতিল নিয়ে আলোচনায় বক্তব্য রাখতে শুরু করেন। বিরোধীদের হইচইয়ের জেরে জিতেন্দ্রর বক্তব্য শেষ হওয়ার আগেই এ দিনের জন্য অধিবেশন মুলতুবি করা হলেও সরকার পক্ষের আশা, আগামিকাল থেকে সুষ্ঠু ভাবে আলোচনা চলবে।

Advertisement

বিরোধীরা মনে করছে, অধিবেশনের বাকি পাঁচ দিনও গোলমালে কেটে গেলে মানুষের অসুবিধার বিষয়টি লোকসভায় নথিভুক্ত হবে না। তাতে আখেরে ফায়দা হবে সরকারেরই। কিন্তু লোকসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েও কেন ভোটে রাজি হল না সরকার? এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, ‘‘নোট বাতিল নিয়ে গোটা পৃথিবীর নজর আমাদের দিকে। বিষয়টি নিয়ে ভোট হলে মনে হবে, কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গোটা দেশ এক জোট নয়। তাই লোকসভায় জয় নিশ্চিত জেনেও সরকার ভোটে যেতে রাজি হয়নি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement