প্রতীকী ছবি।
অবশেষে ফিরে এল পরীক্ষা। তার হাত ধরে পাশ-ফেল প্রথা। তবে সব শ্রেণিতে নয়। কেবল পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে।
আজ শিক্ষার অধিকার আইনে পাশ-ফেল সংক্রান্ত সংশোধনী এনে বিলটি পাশ হয় রাজ্যসভায়। সংসদের উভয় কক্ষেই সংশোধনী বিলটি পাশ হওয়ায়, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পরীক্ষার পদ্ধতি ফিরিয়ে আনতে পারার অধিকার ফিরে পেল রাজ্যগুলি। আগামী দিনে পরীক্ষার ফলের উপরে নির্ভর করবে কোনও ছাত্র-ছাত্রীর নতুন শ্রেণিতে ওঠার যোগ্যতা অর্জন করছে কি না। তবে পাশ-ফেল প্রথা ফিরিয়ে আনা হবে কি না তা নিয়ে রাজ্যগুলির মধ্যে ভিন্ন মত রয়েছে। তাই সংশোধিত আইনে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পাশ-ফেল প্রথা চালু করা হবে কি না সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাজ্যগুলির হাতে ছেড়ে দিয়েছে কেন্দ্র। তবে শুরু থেকেই পশ্চিমবঙ্গ ওই দুই শ্রেণিতে পরীক্ষাব্যবস্থা তথা পাশ-ফেল ফিরিয়ে আনার পক্ষপাতী।
গত বছর জুলাই মাসে ওই সংশোধনী বিলটি পাশ হয় লোকসভায়। কেন ওই সংশোধনী আনা হচ্ছে তার ব্যাখ্যায় কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, ‘‘২০০৯ সালে শিক্ষার অধিকার আইনে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশ-ফেল প্রথা তুলে দেওয়া হয়। চার বছরের মাথায় দেখা যায় শিক্ষার মান তলানিতে এসে ঠেকেছে। অষ্টম শ্রেণির ছাত্র পঞ্চম শ্রেণির অঙ্ক পারছে না। ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র তৃতীয় শ্রেণির উত্তর দিতে ব্যর্থ। আর পরীক্ষাব্যবস্থা না থাকায় দায় এড়াতে দেখা যায় শিক্ষক, ছাত্র, অভিভাবক-সকলেই।’’ তাঁর দাবি, এরপরেই চিত্রটি পাল্টাতে তৎপর হয় কেন্দ্র।
শিক্ষা মন্ত্রকের মতে, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পরীক্ষা ফিরিয়ে আনার পক্ষে সায় দেয় ২৫টি রাজ্য। কিন্তু দক্ষিণের কিছু রাষ্ট্র, মহারাষ্ট্র ওই বিলে আপত্তি করায় সংশোধনী বিলে পাশ-ফেল ফিরিয়ে আনা হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রাজ্যগুলির হাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়। আজ ধ্বনি ভোটেই রাজ্যসভায় পাশ হয়ে যায় বিলটি।
আজ জাভড়েকর রাজ্যসভায় স্পষ্ট করে দেন পরীক্ষায় ফেল করিয়ে কাউকে আটকে দেওয়া ওই সংশোধনীর লক্ষ্য নয়। তাই পঞ্চম বা অষ্টম শ্রেণিতে কেউ ফেল করলে দু’মাস পরে সেই পড়ুয়াকে ফের পরীক্ষায় বসার ব্যবস্থা করে দিতে হবে স্কুলকে। তাতেও যদি ওই পড়ুয়া ব্যর্থ হয় তখন তাকে একই শ্রেণিতে রেখে দেওয়া নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য তথা স্কুল। এ দিন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুরো বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’