ট্রেনের রুট-বদলে ভোগান্তি যাত্রীদের

রেলের দাবি, ট্রেন বাতিল হলে এসএমএস করে যাত্রীদের তা জানানো হয়। রুট বাতিলের বিজ্ঞাপন সংবাদপত্রে দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৩৬
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

ফেসবুক-টুইটার-এসএমএস— সবই আছে। কিন্তু যাত্রী পরিষেবায় রেল রয়েছে সেই আদ্যিকালেই। এই পিছিয়ে থাকার যন্ত্রণা শুক্রবার রাতে হাড়েহাড়ে টের পেয়েছেন শিয়ালদহ-বারাণসী এক্সপ্রেসের শ’খানেক যাত্রী।

Advertisement

রাত সওয়া ৯টা নাগাদ শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে চেপেছিলেন ওঁরা। অনেকেরই বিহারের সাহেবগঞ্জ বা কিউলে নামার কথা ছিল। কিন্তু সহযাত্রীদের কয়েক জনের কাছে তাঁরা জানতে পারেন, বর্ধমান থেকে রামপুরহাট-সাহেব়গঞ্জ-কিউল হয়ে যাওয়ার বদলে ওই ট্রেন আসানসোল-ধানবাদ-গয়া হয়ে বারাণসী যাবে। শুরু হয় হট্টগোল। শেষমেশ বর্ধমানে নেমে বিক্ষোভ দেখানোর পরে ওই যাত্রীদের অন্য ট্রেনে ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে বলে রেল সূত্রের খবর।

রেলের দাবি, ট্রেন বাতিল হলে এসএমএস করে যাত্রীদের তা জানানো হয়। রুট বাতিলের বিজ্ঞাপন সংবাদপত্রে দেওয়া হয়। কিন্তু যাত্রীদের প্রশ্ন, টিকিট কাটার সময়েই তো মোবাইল নম্বর দেওয়া বাধ্যতামূলক হয়েছে। এসএমএস করে জানানো যেত না? সদুত্তর মেলেনি।

Advertisement

যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, ট্রেনে কোনও টিকিট পরীক্ষক ছিলেন না। তাঁরা হইচই করলে রেলরক্ষী বাহিনীর কয়েক জন কর্মী এসে ঘটনাটি শোনেন। তাঁরাই উপরমহলে খবর দেন। রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ ট্রেন বর্ধমানে পৌঁছলে সংরক্ষিত কামরার শ’খানেক যাত্রী স্টেশনমাস্টারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। প্রায় ৪০ মিনিট বর্ধমানে থমকে থাকে ট্রেনটি। রেলের দাবি, বর্ধমানের স্টেশন ম্যানেজার বারাণসী এক্সপ্রেসের টিকিটেই ওই যাত্রীদের কবিগুরু এবং গৌড় এক্সপ্রেস এবং কয়েকটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনে তুলে দেন। রাত ১২টা ১০ মিনিটে বারাণসী এক্সপ্রেস বর্ধমান ছাড়ে।

কিন্তু অন্য ট্রেনে উঠেও ভোগান্তি কমেনি বলে অভিযোগ। যাত্রীরা জানান, ওই ট্রেনগুলির কামরায় আগে থেকেই যাত্রীরা ছিলেন। গাদাগাদি করে যেতে হয়েছে। এক যাত্রী
বলছেন, ‘‘অপরিচিত লোক দেখে নতুন ট্রেনের যাত্রীরা স্বাভাবিক ভাবেই সন্দেহের চোখে দেখছিলেন। টিকিট কেটেও এমন অভিজ্ঞতা
খুবই অপমানের।’’

এত কিছুর পরেও রেলকর্তাদের এক কথা, সব তথ্য ন্যাশনাল ট্রেন এনকোয়্যারি সিস্টেমে দেওয়া হয়। সেখান থেকে দেখে নিলেই হত!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন