ছবি সংগ্রহ।
পটনার নৌকাডুবির ঘটনায় প্রথম থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। বিহার পুলিশ ঘটনাটিকে লঘু করে দেখাতে চাইছে বলেও অভিযোগ ওঠে। প্রথমে কিছুই ঘটেনি, পরে ছোটখাটো দুর্ঘটনা বলে চালাবার চেষ্টা গতকাল দীর্ঘ ক্ষণ ধরেই করে এসেছে পুলিশ এবং জেলা প্রশাসন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে, অন্তত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে কালকের এই ঘটনায়। আজ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রত্যক্ষদর্শীর তোলা একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর নতুন করে কিছু প্রশ্ন সামনে এসেছে। ভিডিও-টির সত্য-মিথ্যা যাচাই আমরা এখনও করে উঠতে পারিনি। কিন্তু বিহার পুলিশের তরফেও ভিডিওটির সত্যতা অস্বীকার করা হয়নি।
পুলিশের তরফে কাল একটি-নৌকা ডুবে যাওয়ার কথাই জানানো হয়। কিন্তু ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে দুটি নৌকা পাশাপাশি ছিল। এক সঙ্গেই দুটি উল্টে যায়। যাত্রীরা গঙ্গায় পড়ে যাওয়ার পর প্রাণপণে বাঁচার চেষ্টা করছেন এমন দৃশ্যও ধরা পড়েছে ভিডিও-তে।
মকর সংক্রান্তিতে পটনার আশপাশে গঙ্গায় ঘুরে ঘুড়ি ওড়ানো দেখেন অনেকেই। পর্যটন দফতরের তরফেই তিন দিন ব্যাপী ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। শনিবার সন্ধ্যায় ঘুড়ি ওড়ানো দেখতে এমন অনেক নৌকায় ভিড় করেছিলেন যাত্রীরা। অতিরিক্ত আয়ের লোভে অনেক নৌকাতেই তোলা হয় অতিরিক্ত যাত্রী। তাতেই দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিক অনুমান। তবে মৃত যাত্রীদের একটা বড় অংশই ডুবে মারা যাননি। পটনায় এখন শৈত্যপ্রবাহ চলছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দু’ডিগ্রির কাছাকাছি। এর মধ্যেই গঙ্গার হিমশীতল জলে পড়েছেন নৌকার যাত্রীরা। অতিরিক্ত ঠান্ডাই অধিকাংশের মৃত্যুর কারণ বলে জানিয়েছেন পটনা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকদের।
গতকালের এই দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘটনা শোক প্রকাশ করে বলেছেন, কেন্দ্র বিহার সরকারের পাশে আছে।
দেখুন ভিডিও: