প্রশান্ত কিশোর
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্মুখ সমরে জেডিইউ-বিজেপি। কাল পটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচন। গত কয়েক দিন ধরেই তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চলছে তীব্র টানাপড়েন। কিন্তু গত কাল পটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রাসবিহারী সিংহের সরকারি আবাসে বৈঠক করেন জেডিইউ সহসভাপতি প্রশান্ত কিশোর। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন আধিকারিকের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক রামশঙ্কর আর্য উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের খবর পেয়েই হাজির হন আরএসএস সমর্থিত ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সমর্থকেরা। উপাচার্যের ঘরের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। কোনও রকমে প্রশান্ত কিশোরকে বার করে গাড়িতে তুলে দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। গাড়িতে ঢিল ছোড়া শুরু হয়। গাড়ির কাচ ভাঙলেও প্রশান্ত অক্ষতই ছিলেন।
রাতেই টুইট করে এবিভিপিকে একহাত নেন প্রশান্ত। লেখেন, ‘‘আমার গাড়িতে পাথর মেরে পটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্য পরাজয়ের হতাশা কমবে না।’’ পরে এবিভিপির সমর্থনে মাঠে নামে বিজেপি।
নির্বাচনের সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিসরে কোনও রাজনৈতিক নেতার উপস্থিতি আচরণবিধির লঙ্ঘন। প্রশান্ত সেটাই করেছেন। প্রশান্ত অবশ্য বলেন, ‘‘আমার কাকার বিপর্যয় মোকাবিলার প্রজেক্ট নিয়ে আলোচনার জন্য গিয়েছিলাম।’’ ওই বৈঠকে প্রশান্তের কাকাও হাজির ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। জেডিইউ নেতারা অবশ্য সরাসরি প্রশান্তের সমর্থনে মাঠে নামেননি। আসলে দলের অন্দরেই প্রশান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে। সেই ক্ষোভ সামাল দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে। নির্বাচনের সময়ে প্রশান্তের তৎপরতা এনডিএ জোটে আগামীতে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিজেপির পাশে দাঁড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী উপেন্দ্র কুশওয়াহা বলেছেন, ‘‘ছাত্রভোটে শাসন ক্ষমতার অপব্যবহারে ব্যক্তির অহঙ্কার প্রকাশ পায়। অহঙ্কারই বিনাশের কারণ।’’