৩০টি ছররা নিয়েই দিন কাটছে জ়োহরার

স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে পড়ে সে। শরীরে বিঁধে রয়েছে ৩০টি ছররা। এই যন্ত্রণা নিয়ে আরও দু’বছর কাটাতে হবে জ়োহরা জ়োহরা বাটকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৮ ০৩:২৭
Share:

ক্ষতবিক্ষত: শ্রীনগরের হাসপাতালে জ়োহরা। ফাইল চিত্র

স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে পড়ে সে। শরীরে বিঁধে রয়েছে ৩০টি ছররা। এই যন্ত্রণা নিয়ে আরও দু’বছর কাটাতে হবে জ়োহরা জ়োহরা বাটকে।

Advertisement

কাশ্মীরে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ছররা ব্যবহার করে বাহিনী। ছররায় দৃষ্টিশক্তি হারানো-সহ মানুষের বিভিন্ন শারীরিক ক্ষতি নিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারকে। ছররায় এখনও অবধি আহতদের মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে ছোট জ়োহরা।

বছর সাতেকের জ়োহরা পড়ে পুলওয়ামার পিংলিশে একটি বেসরকারি স্কুলে। ২০১৬ সালের অগস্ট মাসে পিংলিশে বিক্ষোভ সামলাতে ছোড়া ছররায় আহত হয় সে। ছররা কী তা-ও বোঝার বয়স হয়নি জ়োহরার। ফোনে সে বলল, ‘‘পুলিশকাকু আমার উপরে পটকা ফাটাল। কাকুটা বাজে। আমার কী অবস্থা হয়েছে দেখে যাও না?’’

Advertisement

জ়োহরার বাবা জাহুর আহমেদ বাট জানাচ্ছেন, বিক্ষোভের দিন পিংলিশে বাড়ির মধ্যেই ছিল জ়োহরা। রাস্তা থেকে ছররা এসে বিঁধে যায় তার গায়ে। জাহুরের কথায়, ‘‘ওর গায়ে গোটা তিরিশেক ছররা বিঁধে রয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ওর শরীর দুর্বল। তাই কেবল মুখ আর হাতে লাগা ছররাগুলি বার করেছেন তাঁরা।’’ পিঠ আর পায়ে লেগে থাকা ৩০টি ছররা বার করার জন্য আরও দু’বছর অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। মাঝে মাঝে যন্ত্রণা হয় জ়োহরার। তাকে ব্যথার ওষুধের বদলে টনিক দেওয়া হয় বলে জানান জাহুর। তাঁর কথায়, ‘‘একটি শিশুকে এমন অবস্থায় দেখলে পরিবারের কী অবস্থা হয় সেটা ভেবে দেখুন।’’

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬-র জুলাই থেকে ২০১৮-র এপ্রিল পর্যন্ত ছররায় আহত ৭ হাজার মানুষ। তাঁদের মধ্যে ১৪০০ জনের চোখে আঘাত লেগেছে। দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন ১২৫৩ জন। ফলে ছররা বন্দুক ব্যবহার নিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার। তবে এখনও তা ব্যবহার বন্ধ হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন