খসড়াছুট ৪০ লক্ষ ৭ হাজার ৭০৭ জন। তাঁদের মধ্যে এনআরসিতে নাম ঢোকানোর জন্য আবেদন করেছেন মাত্র সাড়ে চার লক্ষ! বাকি সাড়ে ৩৫ লক্ষ মানুষ এখনও আবেদনপত্র জমা দেননি। খসড়াছুটদের অনেকেরই বক্তব্য, তাঁদের কাছে নতুন করে জমা দেওয়ার মতো কোনও প্রমাণপত্র নেই। যা যা ছিল তা আগেই জমা দিয়েছেন।
চূড়ান্ত খসড়ায় যাঁদের নাম বাদ গিয়েছে তাঁদের ফের আবেদন জানানোর প্রক্রিয়া মাস দুয়েক আগে শুরু হলেও প্রথমে আবেদনপত্র অমিল হওয়া, পরে পাঁচটি প্রমাণপত্র বাতিল করা এবং শেষ পর্যন্ত ফের সেগুলি গণ্য করার মতো ঘটনাক্রমে আম জনতার কম হয়রানি হয়নি। অবশ্য সেই দিকে লক্ষ রেখেই সুপ্রিম কোর্ট আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়িয়ে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত করেছে। এনআরসি সেবাকেন্দ্রগুলি থেকে বলা হচ্ছে এক বার জমা দেওয়া নথি ফের জমা দিলে চলবে না। নতুন নথি বা প্রমাণপত্র আনতে হবে। খসড়াছুটদের অনেকেই ভিন রাজ্যের লিগ্যাসি ডেটা বা জমির দলিল দিয়েছিলেন। সে সব যাচাই হয়ে ফেরত না আসায় তাঁরা সমস্যায় পড়েছেন। অনেক বাঙালি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় পুরনো নথিপত্র, স্কুল সার্টিফিকেটের খোঁজে গিয়েছেন। সেই সব জোগাড় করা সময়সাপেক্ষ। তাই আবেদনপত্র এখনও জমা পড়েনি।
গত কাল এনআরসির বিষয়টি নিয়ে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে রিপোর্ট জমা দেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল।