parliament

সাংসদদের হয়ে প্রশ্ন জমা দিতে পারবেন না অন্য কেউ, শীতকালীন অধিবেশন থেকেই নয়া নিয়ম

লোকসভার সাংসদদের হয়ে তাঁদের ব্যক্তিগত আপ্তসহায়কদের অনলাইনে প্রশ্ন জমা দেওয়ার যে অধিকার ছিল, তা আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ০৫:৪৮
Share:

—ফাইল চিত্র।

এথিক্স কমিটি নিজেদের রিপোর্টে মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ বাতিল করার সুপারিশ করেছিল বলে সূত্রের খবর। এখনও পর্যন্ত বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের যা মনোভাব তাতে, লোকসভায় ওই রিপোর্ট পেশ হলে শাসক শিবির ওই সুপারিশকে পূর্ণ সমর্থন জানাবে। তবে লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ হলে, রাজনৈতিক ভাবে তিনি এবং তাঁর দল লাভবান হবে কি না, তা-ও মাথায় রাখছে বিজেপি।

Advertisement

মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি তাঁর সাংসদ অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানিকে দিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, এর পরিপ্রেক্ষিতে লোকসভার সাংসদদের হয়ে তাঁদের ব্যক্তিগত আপ্তসহায়কদের অনলাইনে প্রশ্ন জমা দেওয়ার যে অধিকার ছিল, তা আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে প্রশ্ন করতে হলে, সাংসদদের নিজস্ব অনলাইন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বা হাতে লিখেই তা করতে হবে। এ নিয়ে ভবিষ্যৎ কর্মপদ্ধতি ঠিক করতে গতকাল একটি বৈঠকেও বসে লোকসভার সচিবালয়। তবে আগামী দিনে আপ্তসহায়কদের অ্যাকাউন্ট পরিচালনার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত বৈঠকে হয়নি।

ঘুষের বদলে প্রশ্ন করার যে অভিযোগ মহুয়ার বিরুদ্ধে উঠেছিল, সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট গত বৃহস্পতিবার গৃহীত হয় সংসদীয় এথিক্স কমিটির বৈঠকে। সূত্রের মতে, রিপোর্টে মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ বাতিল করা এবং তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সরকারি তদন্ত (অর্থাৎ সিবিআই এবং ইডি) করার সুপারিশ করা হয়েছে।

Advertisement

আগামী ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। সূত্রের মতে, ওই অধিবেশনে স্পিকার ওম বিড়লা যদি মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ সংক্রান্ত রিপোর্টটি লোকসভায় পেশ করেন, রিপোর্টটিকে বিজেপি সম্পূর্ণ ভাবে সমর্থন জানাবে। নিশিকান্ত দুবের মতো বিজেপির একটি বড় অংশ মহুয়ার সাংসদ পদ বাতিলের পক্ষে।

রাজনৈতিক শিবিরের মতে, মহুয়ার উপর বিজেপির রাগের অন্যতম কারণ হল, গত চার বছর ধরেই মহুয়া প্রবল আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শিল্পপতি গৌতম আদানির সম্পর্ক নিয়ে আক্রমণ শানিয়ে এসেছেন। তাঁর মতো ঝাঁঝালো ভাবে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে আক্রমণ করতে বিরোধী শিবিরের খুব কম সাংসদকেই দেখা গিয়েছে। মহুয়ার সমালোচনার জেরে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে বারংবার অস্বস্তিতে পড়তে হয় সরকারকে।

তবে বিজেপি-র রাজ্য নেতৃত্ব রাজনৈতিক নেত্রী হিসেবে মহুয়াকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে রাজি নন। রাজ্যে বিজেপির এক নেতার কথায়, ‘‘ইংরেজিতে বক্তৃতা দেওয়া এক কথা, আর মাঠে নেমে মানুষের জন্য কাজ করা আর এক। তা ছাড়া, গোটা পর্বে তৃণমূলের কোনও শীর্ষ নেতাকে মহুয়ার পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি।’’ যদিও অভিষেক মহুয়াকে সমর্থন করে সম্প্রতি কিছু বলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন