পীযূষ গয়াল।
এক সাংসদের ইংরেজি অ্যাকসেন্টে কুপোকাত এক মন্ত্রী। প্রথম জন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর, আর দ্বিতীয় জন হলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পীযূষ গয়াল।
ইংরেজিতে দারুণ কথা বলেন শশী। রাজনৈতিক মহলে এ জন্য যথেষ্ট সুনামও আছে তাঁর। লোকসভায় ‘ফিউজিটিভ ইকনমিক অফেন্ডার্স বিল’একটি বিতর্ক চলছিল। সেখানে সরকার বিরোধী সব পক্ষের সাংসদরাই উপস্থিত ছিলেন। তারুরও ছিলেন সেখানে। তারুর সেখানে ইংরেজিতে এমন অ্যাকসেন্টে ভাষণ দিয়েছেন যে, তা নাকি মাথার উপর দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে গয়ালের!
বিতর্ক শুরুহতেই ওই বিল সম্পর্কে নানা প্রশ্ন তুলে সরকারকে তুলোধনা করার চেষ্টা করেন তারুর। হিন্দিতে নয়, স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তিনি সওয়াল-জবাব শুরু করেছিলেন সেই ইংরেজিতেই। আর যে সে ইংরেজি নয়, এক্কেবারে মার্কিনঅ্যাকসেন্টে! গড় গড় করে তিনি সেই অ্যাকসেন্টেই বলে যাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিচারপতি গগৈকে রুখতে মেয়াদ বাড়ছে মিশ্রের!
‘সমস্যা’র সূত্রপাত এখান থেকেই। সমস্যাই বটে! তবে তা গোটা হাউসের জন্য নয়, তারুরের বিদেশি অ্যাকসেন্টে ‘সমস্যা’হয়েছিল খোদ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের। তারুরের প্রশ্নের জবাব দিতে উঠে কোনও ইতস্তত না করে লোকসভায় তিনি বলেই ফেলেন, ‘‘তারুরের ইংরেজি অ্যাকসেন্ট বুঝতে পারছি না!’’ আর সঙ্গে সঙ্গে হইহই রব ওঠে গোটা সভায়।
তারুরের অ্যাকসেন্ট নিয়ে প্রশ্ন তোলায় গয়ালের বিরুদ্ধে সরব হন কেরলের সাংসদ এন কে প্রেমচন্দ্রন।তারুরকে সমর্থন করে তিনি বলেন, “তারুর সম্পর্কে মন্ত্রীর এমন মন্তব্য মোটেই উচিত হয়নি।” সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী গয়ালের সমর্থনে কিছু বলতে গেলে এ বারও প্রেমচন্দ্রন ধমকের সুরে বলেন, তারুর কী ভাবে বলবেন সেই অধিকার তাঁর রয়েছে।
কেরলের তিরুঅনন্তপুরম থেকে দু’বারের সাংসদ তারুর ছাত্রজীবনেই আমেরিকা চলে যান পড়াশোনার জন্য। সেই সুবাদে মার্কিন অ্যাকসেন্টে ইংরেজি বলাটাও ভালই রপ্ত করেন। রাজনীতির সুবাদেও তাঁকে বিদেশে থাকতে হয়েছে। এক জন রাজনীতিক ছাড়াও ভাল লেখক হিসাবেও পরিচিতি রয়েছে তাঁর। ১৬টি ‘বেস্ট সেলিং’বই রয়েছে তাঁর। দেশি-বিদেশি বহু ইংরেজি সংবাদপত্রের হয়ে কলম ধরেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: এয়ারসেল-ম্যাক্সিস মামলায় চিদম্বরমকে চার্জশিট