সিগারেট ছাড়ার খুশিতেও বৃক্ষরোপণ

রাঁচীর ডিএফও রাজীবলোচন বক্সি বলেন, ‘‘শহর লাগোয়া হেহাল এলাকায় ৬০ একর জমিতে তৈরি হবে ওই স্মৃতিবন। আসলে ফলের বাগান। জায়গা চিহ্নিত করে বোর্ড লাগানো হয়ে গিয়েছে।’’

Advertisement

আর্যভট্ট খান

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:০০
Share:

প্রতীকী ছবি।

জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী বা প্রিয়জনের মৃত্যুবার্ষিকী— জীবনের কোনও মনে রাখার মতো দিনে একটা গাছ লাগান। সে সব গাছে ছোট জঙ্গল গড়ে উঠবে রাঁচীতে— এমনই পরিকল্পনা ঝাড়খণ্ডের বন দফতরের। তাতে সাড়া দিয়ে ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে অসংখ্য আবেদনপত্র। কেউ আবার সিগারেট ছাড়ার দিনটিকেও স্মরণীয় করতে চাইছেন গাছ লাগিয়ে।

Advertisement

রাঁচীর ডিএফও রাজীবলোচন বক্সি বলেন, ‘‘শহর লাগোয়া হেহাল এলাকায় ৬০ একর জমিতে তৈরি হবে ওই স্মৃতিবন। আসলে ফলের বাগান। জায়গা চিহ্নিত করে বোর্ড লাগানো হয়ে গিয়েছে।’’ তিনি জানান, ওই জমিতে শুধু ফলের গাছের চারাই লাগানো যাবে। গাছ বড় হলে ফল নিতে পারবেন সেই গাছের মালিক। গাছের সামনে বোর্ডে লেখা থাকবে যিনি চারা রোপণ করেছেন তাঁর নাম। লেখা থাকবে গাছ লাগানোর কারণও। রাজীববাবু বলেন, ‘‘গাছ রোপণের জন্য সংশ্লিষ্ট নাগরিককে একটি টোকেন দেওয়া হবে। তা দেখিয়ে তিনি বা তাঁর পরিজনেরা ভবিষ্যতে ওই গাছের নির্দিষ্ট সংখ্যক ফল নিতে পারবেন।’’ ইতিমধ্যেই ৫ হাজারের বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে।

তাঁদেরই এক জন রাঁচীর হরমূর বাসিন্দা সচিন কুমার। তিনি বলেন, ‘‘সিগারেট ছাড়াটা বেশ কঠিন ছিল। তাই সে দিনটাকে মনে রাখতে একটা আমগাছ লাগাতে চাই। সিগারেটে আমার যেমন ক্ষতি হতো, তেমনই পরিবেশ দূষণও হত। বলতে পারেন, এটা তারই প্রায়শ্চিত্ত।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement