নরেন্দ্র মোদী।—ফাইল চিত্র।
বিরোধীদের নয়, নিজের দলের সাংসদদেরই অমিত শাহের ‘ভয়’ দেখালেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আগামিকাল সংসদের বাদল অধিবেশন শেষ হচ্ছে। তার আগে আজ বিজেপির সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সংসদে মন্ত্রী-সাংসদদের অনুপস্থিতি নিয়ে বারবার হুঁশিয়ারি দিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না। এই গরহাজিরার জেরে বিরোধীরা বিলে সংশোধনী পাশ করিয়ে নিচ্ছে। বিশেষ করে রাজ্যসভায়। তাই এ বার অমিত শাহের ‘ভয়’ দেখানোর অস্ত্র প্রয়োগ করলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে মোদী বলেন, ‘‘কতবার বলা হয়েছে সংসদে উপস্থিত থাকতে। তা-ও কিছু সাংসদ অনুপস্থিত থাকেন। আপনারা নিজেদের কী মনে করেন?’’ এর পরেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘এ বার অমিত শাহ সংসদে এসেছেন। আপনাদের আরামের দিন শেষ।’’
আরও পড়ুন: আনসারির খোঁচা, পাল্টা বেঙ্কাইয়ার
বন্ধ ঘরে প্রধানমন্ত্রীর এই শাসানির কথা জানিয়ে কিছু সাংসদ কবুল করেন, আজকের হুঁশিয়ারির অন্য মানেও রয়েছে। কারণ, প্রধানমন্ত্রী এখনই ভোটের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে বলেছেন। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, সাংসদদের কাজে সন্তুষ্ট না হলে পরের নির্বাচনে টিকিট মিলবে না। সংসদের পরের অধিবেশন থেকে অমিত শাহ নিজে গোটা বিষয়টির উপরে নজর রাখবেন। তার ভিত্তিতেই তৈরি হবে এই মূল্যায়ন। এর থেকে স্পষ্ট, শুধু নিজের ওজন বাড়ানোই নয়, সাংসদদের উপর নিয়ন্ত্রণ বাড়াতেও অমিত শাহকে সংসদে আনা হয়েছে। সভাপতি হিসেবে তিন বছর পূর্ণের জন্য আজ মোদী অমিত শাহের তারিফ করেন। বলেন, জনসঙ্ঘের আমলের কঠোর পরিশ্রমের সংস্কৃতি ফিরিয়ে এনেছেন অমিত। বিজেপি নেতারা মনে করছেন, এ বার সংসদেও সেই পথে হাঁটবেন অমিত শাহ।
তবে কংগ্রেসের বক্তব্য, গুজরাতে থাকার সময় থেকেই মোদী-শাহ শুধু ভয়ের রাজনীতিই করে এসেছেন। এখন দিল্লিতে এসেও তা শুরু করেছেন। বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধেও ভয় ছড়ানোর কাজ করে চলেছে এই জুটি। নিজের দলের নেতাদেরও ভয়ে রেখেছেন। এ বারে সেটিই সকলের সামনে প্রধানমন্ত্রী বললেন মাত্র।