মিডিয়া মুক্ত, মোদীই বলবেন লন্ডনে

গৌরী খুন হওয়ার পরে দীর্ঘদিন কেন্দ্রের তরফে কোনও তৎপরতা চোখে পড়েনি। শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন হিন্দুত্ববাদী এক যুবক।

Advertisement

অগ্নি রায়

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:৫৫
Share:

তাঁর আমলে বিরোধীদের কণ্ঠরোধের অভিযোগ উঠছে বারবার। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে বলতে সেই নরেন্দ্র মোদীই চললেন বিলেতে।

Advertisement

আগামী ১৯-২০ এপ্রিল লন্ডনে চলবে ৫৩টি দেশের ‘চোগাম’ (কমনওয়েলথ হেডস অব গভর্নমেন্ট মিটিং) সম্মেলন। তাতে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে এক আলোচনাচক্রে যোগ দেবেন মোদী। প্রশ্নের মুখোমুখিও হবেন। পাশাপাশি, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কমনওয়েলথের মানবাধিকার বিভাগের ১২ দফা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করবেন তিনি। কমনওয়েলথ সচিবালয় সূত্র তেমনই জানাচ্ছে।

ঘোষণাপত্রটিতে রয়েছে সংসদ, বিচার বিভাগ এবং মন্ত্রিসভার সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের সম্পর্ক, সাংবাদিকের আইনি এবং শারীরিক নিরাপত্তা, নির্বাচনের সময়ে তাঁদের রক্ষাকবচ, সাংবাদিককে আক্রমণ বা হত্যার চেষ্টা সংক্রান্ত মামলাগুলিতে পাশে থাকার মতো বিষয়গুলি। ইউনেস্কোর তথ্য বলছে, ২০১৩ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলির ৫৭ জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন। সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশের হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গও উঠবে লন্ডনের আলোচনায়। বিরোধীদের বক্তব্য, গৌরী-হত্যা নিয়ে এখন লন্ডনে জবাবদিহি করতে হবে মোদীকে। গৌরী খুন হওয়ার পরে দীর্ঘদিন কেন্দ্রের তরফে কোনও তৎপরতা চোখে পড়েনি। শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন হিন্দুত্ববাদী এক যুবক।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর, ভারতে সংবাদমাধ্যম কতটা ‘চাপমুক্ত হয়ে’ কাজ করে, তার উদাহরণ জোগাড়ে এখন ব্যস্ত অফিসারেরা। যা শুনে বিরোধীরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে একটিও সাংবাদিক বৈঠক করেননি মোদী। উল্টে ‘ভুয়ো খবর’ করলে সাংবাদিকদের সরকারি স্বীকৃতি বাতিলের শাস্তিমূলক আইন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্মৃতি ইরানির মন্ত্রক। এ ছাড়া, বিজেপি বা সরকারের পক্ষে অস্বস্তিকর খবর করলেই নিয়মিত মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সাংবাদিকদের। অমিত শাহের ছেলে জয়ের সংস্থার ফুলে-ফেঁপে ওঠা নিয়ে খবর করার পরে একটি সংবাদ সংস্থার বিরুদ্ধে ১০০ কোটির মানহানির মামলা হয়েছে। সেই মামলা লড়ছেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল।

আরও পড়ুন: আজ অনশনে বসছেন মোদী, ‘ছোলে-বাটোরে’ আটকাতে মরিয়া দল

বিরোধীদের একাংশের এ-ও দাবি, সোহরাবুদ্দিন মামলার বিচারক বি এইচ লোয়ার রহস্যমৃত্যু নিয়ে একটি সংবাদপত্র তদন্তমূলক খবর করার পরে অধিকাংশ সংবাদ সংস্থাকেই চুপ করিয়ে রেখেছিল কেন্দ্র। উল্টো খবর করতেও চাপ দেওয়া হয়েছিল তাদের। বিজেপির দাবি, স্মৃতি ইরানির নয়া আইনের সিদ্ধান্ত তো মোদীই প্রত্যাহার করিয়েছেন। কংগ্রেসের পাল্টা অভিযোগ, সমস্ত সংবাদমাধ্যমের নিয়ন্ত্রক সংস্থায় লোক ঢুকিয়েছে বিজেপি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন