সংসদ ভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার সাংসদেরা। —নিজস্ব চিত্র।
এনডিএ জোটের সকল সাংসদকে একসঙ্গে নিজের বাসভবনে নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করেন বিজেপি-সহ এনডিএ-র শরিক দলগুলির ৪০১ জন সাংসদ। ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের সাংসদেরাও। নৈশভোজের টেবিলে টেবিলে যেন ‘মিনি ভারত’ গড়ে উঠেছিল। কারণ, প্রতি টেবিলে বিভিন্ন রাজ্যের ও বিভিন্ন দলের সাংসদদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীরা। পশ্চিমবঙ্গের দু’জন মন্ত্রী দু’টি পৃথক টেবিলে সমন্বয়ের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলেছে নৈশভোজের আড্ডা।
বাসে ওঠার আগে শান্তনু ঠাকুর এবং সৌমিত্র খাঁ। ছবি: ভিডিয়ো থেকে।
বিজেপি সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী নৈশভোজের আসরে উপস্থিত হয়ে সকল সাংসদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। জানান, এনডিএ-র সাংসদদের একসঙ্গে বাড়িতে ডেকে খাওয়ানোর ইচ্ছা তাঁর অনেক দিনের। বৃহস্পতিবার সেই ইচ্ছাই পূরণ করেছেন। সূত্রের খবর, এক-একটি টেবিলে সাত থেকে আট জন করে সাংসদের বসার ব্যবস্থা ছিল। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এবং জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর নিজ নিজ টেবিলে সমন্বয়ের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। বসার আয়োজন এমন ভাবে করা হয়েছিল যাতে, প্রতি টেবিলে অন্তত এক জন করে মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী থাকেন। একই রাজ্য থেকে বেশি সাংসদকে একসঙ্গে না রেখে বিভিন্ন রাজ্যের এবং বিভিন্ন শরিক দলের সাংসদকে মিলিয়েমিশিয়ে বসতে বলা হয়েছিল। আনন্দবাজার ডট কম-কে শান্তনু বলেন, ‘‘যে টেবিলে আমরা বসেছিলাম, সেখানে এনডিএ-র বিভিন্ন শরিক দলের সাংসদেরা ছিলেন। বিভিন্ন রাজ্যের সাংসদও ছিলেন। বলা যায় মিনি ভারত। আমরা নিজেদের মধ্যে নিজেদের বিভিন্ন কাজ এবং বিভিন্ন রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি। বিভিন্ন বিষয়ে মত বিনিময়ও করেছি।’’
বাসে ওঠার আগে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। ছবি: ভিডিয়ো থেকে।
নৈশভোজের মেনু কী ছিল? সূত্রের খবর, নিরামিষ পদে সাজানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের খাদ্যতালিকা। ছিল একাধিক নিরামিষ স্যুপ, কাটলেট, কোপ্তা, ডাল, নানা ধরনের ফল এবং ফলের রস। এ ছাড়া, রুটি, পরোটা এবং বিশেষ এক ধরনের ফ্রায়েড রাইস ছিল খাদ্যতালিকায়।
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আয়েজিত এনডিএ সাংসদদের এই নৈশভোজ ঘিরে গোপনীয়তা এবং সতর্কতার বহর ছিল লক্ষণীয়। সংসদ ভবন থেকে সাংসদদের যে বাসে করে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তাতে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল এসপিজি। প্রত্যেককে মোবাইল ফোন জমা রেখে ভিতরে প্রবেশ করতে হয়েছে।