(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী এবং মহম্মদ মুইজ্জু (ডান দিকে)। শুক্রবার মলদ্বীপে। ছবি: পিটিআই।
দু’দিনের সফরে মলদ্বীপে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার মলদ্বীপের রাজধানী মালের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে মোদীর বিমান। তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। এই সফরে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট-সহ একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। শুক্রবার মলদ্বীপের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন তিনি। ২১টি তোপধ্বনির মাধ্যমে সম্মানিত করা হয় মোদীকে। সঙ্গে ছিলেন মুইজ্জুও। প্রসঙ্গত, ১৯৬৫ সালের ২৬ জুলাই আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বাধীনতা লাভ করে একদা ব্রিটিশ শাসনাধীন মলদ্বীপ।
অভিযোগ উঠেছিল যে, মুইজ্জু ‘ভারতবিরোধী’ প্রচারে ভর করে মলদ্বীপে ক্ষমতায় এসেছেন। স্পষ্টতই ‘চিনপন্থী’ মুইজ্জু তাঁর দেশে সামরিক সহায়তার জন্য ঐতিহ্যগত ভাবে রাখা শেষ ভারতীয় সেনাটিকেও ফেরত পাঠিয়েছিলেন। তা ছাড়া মোদীর লক্ষদ্বীপের ছবি পোস্ট করা নিয়ে মুইজ্জুর তিন মন্ত্রী কুমন্তব্য করায় মলদ্বীপে পর্যটন বয়কটের ঢেউ ওঠে ভারতে। দু’দেশের কূটনৈতিক টানাপড়েনও প্রকাশ্যে চলে আসে। পরে অবশ্য সেই সংঘাত খানিকটা স্তিমিত হয়ে আসে। এই আবহে মোদীকে মুইজ্জুর উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর ঘটনাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
মোদীকে মলদ্বীপে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মুইজ্জুই। ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে মুইজ্জু প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই প্রথম বিদেশের কোনও রাষ্ট্রপ্রধান মলদ্বীপে গেলেন। ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্রে অবতরণ করেই মোদী জানান, ভারত-মলদ্বীপ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৬০ বছর পূর্তির কারণেও চলতি বছরটি দুই দেশের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি এবং সমৃদ্ধির লক্ষ্যে দুই দেশের সহযোগিতা এবং বোঝাপড়া আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি। মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি স্বাক্ষর করে শুক্রবারই ব্রিটেন থেকে মলদ্বীপে পৌঁছোন মোদী। শনিবার তাঁর দেশে ফেরার কথা।