Jairam Ramesh

লজ্জায় মিজ়োরামে প্রচারে নেই মোদী, খোঁচা কংগ্রেসের

মণিপুরে সংঘর্ষের পরে পালিয়ে আসা ওই কুকিদের বাসস্থান, খাদ্যের ব্যবস্থা করেছে মিজ়োরাম সরকার। অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু থেকে আসা মিশনারিরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৩ ০৬:৪৬
Share:

জয়রাম রমেশ। —ফাইল চিত্র।

কোনও কারণ না দেখিয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভোটের প্রচারে মিজ়োরামে আসা বাতিল করে দিয়েছেন। আর মোদীর এই সিদ্ধান্ত নতুন করে কংগ্রেসের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন, মণিপুরের সংঘর্ষ ও সঙ্কট নিয়ে এত দিনের নীরবতার জন্যই লজ্জায় মিজ়োরাম সফর বাতিল করতে হল মোদীকে। তিনি এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘‘১৮০ দিন ধরে অশান্ত মণিপুরে এক বারও আসার সময় পাননি মোদী, কিন্তু তাদের পাশের রাজ্যে তিনি ভোট প্রচারে এলে প্রশ্ন উঠতই। তিনি কোন মুখে মিজ়োরামে আসতেন? হয়তো তাই তাঁকে সফর বাতিল করতে হল।’’

Advertisement

এ দিকে ভোটের মুখে মিজ়োরামে আশ্রয় নেওয়া ১২ হাজারের বেশি কুকি শরণার্থীর প্রশংসাকে হাতিয়ার করে ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইছে শাসক দল এমএনএফ। মণিপুরে সংঘর্ষের পরে পালিয়ে আসা ওই কুকিদের বাসস্থান, খাদ্যের ব্যবস্থা করেছে মিজ়োরাম সরকার। অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু থেকে আসা মিশনারিরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। যাঁরা রান্না করে খাচ্ছেন, তাঁদের গ্যাস সিলিন্ডারের যোগান দিচ্ছে রাজ্য সরকার। শরণার্থী পরিবারগুলির নেতা জন জ়ো বলেন, ‘‘আমরা মিজ়োরাম সরকারের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকব। কুকি, জোমি, জো, মার, চিন, মিজ়োরা একই রক্তের সম্পর্কে বাঁধা। বিপদের সময় দায় না এড়িয়ে আমাদের, মায়ানমারের ও বাংলাদেশের শরণার্থীদের যে ভাবে আপন করে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী জ়োরামথাঙ্গা, তার জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়।’’ ওই ৫০ হাজার শরণার্থীর আশীর্বাদে ভর করেই জোরাম নিজেকে জো-কুকিদের রক্ষাকর্তা হিসেবে তুলে ধরেছেন। নির্বাচনী ইস্তাহারে তাঁর দল দাবি করেছে, বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা জো-চিন-কুকিদের এক ছাতার তলায় আনা হবে। অর্থাৎ, শুধু পৃথক রাজ্য নয়, কার্যত পৃথক দেশের দাবি ভাসিয়ে রেখে মিজোদের ভোট চাইছে এমএনএফ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন