PM Narendra Modi

‘অনুপ্রেরণা’ বলে মোদী এ বার বার্তা দিলেন শিখদেরও

গুরু গোবিন্দ সিংহের দুই নিহত পুত্রের স্মৃতিতে আজকের দিনটিকে ‘বীর বাল দিবস’ হিসেবে পালন করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মোদী আগেই। আজ সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিশ্বের উদ্দেশে বার্তা দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:২৬
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।

চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে খ্রিস্টানদের কাছে টানতে বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই শিখ গুরুদের জাতীয় অবদানের প্রশংসায় আজ তিনি পঞ্চমুখ। আজ নয়াদিল্লির ভারতমণ্ডপমে ‘বীর বাল দিবস’ অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিখ গুরুরা ভারতবাসীকে শিখিয়েছেন, কী ভাবে দেশের মাটির সম্মানের জন্যই বাঁচতে হয়। দেশকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে তাঁরা অনুপ্রেরণাস্বরূপ।

Advertisement

গুরু গোবিন্দ সিংহের দুই নিহত পুত্রের স্মৃতিতে আজকের দিনটিকে ‘বীর বাল দিবস’ হিসেবে পালন করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মোদী আগেই। আজ সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিশ্বের উদ্দেশে বার্তা দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। বলেছেন, মোগলের হাতে নিহত গুরু গোবিন্দ সিংহের দুই পুত্র জোরাবর সিংহ এবং ফতে সিংহের আত্মোৎসর্গের কথা শুধুমাত্র ভারত নয়, গোটা বিশ্ব মনে রাখবে।

প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “বীর বাল দিবস ভারতীয়ত্ব বাঁচানোর সংকল্পের প্রতীক। এই দিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, সাহসিকতার কোনও বয়স হয় না। এই বছর আমেরিকা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, নিউ জ়িল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং গ্রিসে ‘বীর বাল দিবস’ সম্পর্কিত অনুষ্ঠানের আয়োজন হচ্ছে। এখন যখন আমরা নিজেদের ঐতিহ্য নিয়ে গর্বিত, বিশ্ব আমাদের অন্য ভাবে দেখতে শুরু করেছে… বর্তমান ভারতবাসী নিজেদের সম্ভাবনা সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী।” মোদী মনে করেন, আজ ভারতীয়েরা যখন নিজেদের ঐতিহ্য নিয়ে গর্ববোধ করছেন, তখন গোটা বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গিরও পরিবর্তন ঘটছে। আজকের ভারত দাসত্বের মানসিকতা কাটিয়ে পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে।

Advertisement

রাজনৈতিক শিবিরের মতে, এখন যে অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতা দিচ্ছেন, সেখানে ঘুরে-ফিরে ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি করা নিয়ে তাঁর সংকল্পের কথা বলছেন। তাঁর ‘অমৃতকাল’ যুব সমাজের জন্য সুবর্ণ সুযোগ নিয়ে এসেছে বলেও দাবি করছেন। মোদী আজও বলেছেন, বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়ার পথে ভারতের এগিয়ে চলার সুফল সবচেয়ে বেশি পাবে দেশের যুব সম্প্রদায়। তাঁর মন্তব্য, “আমাদের এক সেকেন্ডও অপচয় করা চলবে না। শিখ গুরুরা আমাদের এই শিক্ষা দিয়েছেন, দেশের গৌরবের জন্য আমাদের বাঁচতে হবে। দেশের উন্নতির জন্য বাঁচতে হবে। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়া মানে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা, উন্নত শিক্ষা, আরও সুযোগ এবং আরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ! ২০৪৭ সালের উন্নত ভারত কেমন হবে? সেই বড় ক্যানভাসে ভারতের এই ছবি আঁকতে আমাদের যুব সমাজকেই এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন