Bihar Assembly Election 2020

বিহার ভোটে প্রচার শুরু নরেন্দ্র মোদী-রাহুল গাঁধীর, তরজায় উন্নয়ন

বিহার বিজেপি জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বার রাজ্যে মাত্র ১২টি সভা করবেন মোদী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

পটনা শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২০ ১৩:০১
Share:

সাসারামের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।

বিহারে বিধানসভা ভোটের প্রচারে শুরু হল যুযুধান দুই শিবিরের শীর্ষনেতার দ্বৈরথ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী শুক্রবার প্রথম অংশ নিলেন বিহারে বিধানসভা ভোটের প্রচারে। সাসারামে প্রথম সভাতেই আরজেডি-কংগ্রেস জোটের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মোদী। রাহুল নওয়াদায় তাঁর প্রথম সভায় অভিযোগ করেছেন, এনডিএ জোটের শাসনে বিহারের কোনও উন্নয়ন হয়নি।

Advertisement

সাসারামের জনসভায় এ দিন মোদী বলেন, ‘‘নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে অপরাধ এবং দুর্নীতির শিকার ছিল বিহার।’’ রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলাতেও নীতীশ সরকার সাফল্য পেয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, ‘‘নীতীশজি না থাকলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হত।’’

জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রসঙ্গে বিরোধীদের নিশানা করে মোদী এ দিন বলেন, ‘‘সকলেই অপেক্ষায় ছিলেন কবে ৩৭০ ধারা উঠবে। কিন্তু কেউ কেউ বলেছিলেন, ক্ষমতায় এলে ওই ধারা আবার ফিরিয়ে আনা হবে। তাঁরা এখন বিহারে ভোট চাওয়ার সাহস পাচ্ছেন না।’’

Advertisement

সাসারামের পাশাপাশি এ দিন ভাগলপুর এবং গয়ার ডেহরিতে সভা করবেন মোদী। প্রতিটি সভায় তাঁর বক্তব্য জায়ান্ট স্ক্রিনে প্রচারিত হবে আশপাশের ২০টি বিধানসভা কেন্দ্রে। ডেহরি এবং ভাগলপুরের সভায় মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ হাজির থাকবেন বলে জেডি (ইউ) সূত্রে জানানো হয়েছে।

বিহার বিজেপি জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বার রাজ্যে মাত্র ১২টি সভা করবেন মোদী। আর সেই সভাগুলিতে তাঁর বক্তৃতা ভার্চুয়াল মাধ্যমে রাজ্যের ২৪৩টি কেন্দ্রের ভোটদাতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। এর জন্য এলসিডি প্যানেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে দলের তরফে।

আরও পড়ুন: ভারতের বাতাসেই নোংরা, মোদীর স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ট্রাম্প

কংগ্রেস নেতা রাহুল এদিন নওয়াদার হিসুয়ার পাশাপাশি ভাগলপুরের কহালগাঁওয়ে ‘মহাগঠবন্ধন’-প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার করবেন। আরজেডি নেতা তথা জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব এবং বিহার ভোটের ভারপ্রাপ্ত এআইসিসি পর্যবেক্ষক শক্তিসিন গোহিল রয়েছেন তাঁর সঙ্গে। হিসুয়ার সভায় বলেন, ‘‘বিহারের গরিব মানুষের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর নজর নেই। তাঁর চিন্তা শুধু অম্বানী-আদানিদের আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি।’’ ওই সভায় তেজস্বী বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতির মধ্যে নীতীশজি ১৪৪ দিন ধরে তাঁর সরকারি বাংলো ছেড়ে বেরোননি। এখনও করোনা আছে। কিন্তু ভোট চলে আসায় তিনি বেরিয়ে পড়েছেন।’’

আরও পড়ুন: দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৭ লক্ষের কম, নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সংক্রমণ হারও

ভোটের আবহের মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে পটনায় প্রদেশ কংগ্রেস দফতর সদাকত আশ্রমের সামনে একটি গাড়িতে হানা দিয়ে আয়কর দফতর কয়েক লক্ষ টাকা উদ্ধার করে। সে সময় দফতরে উপস্থিত শক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। শক্তি এ দিন বলেন, ‘‘আমাদের টাকা ছড়িয়ে ভোট কেনার সামর্থ্য নেই। পরাজয় অবশ্যম্ভাবী বুঝেই চক্রান্ত শুরু করেছে বিজেপি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন