মেহুল ও নীরব
বিদেশে কী পরিমাণে ব্যবসার জাল ছড়িয়েছেন নীরব মোদী-মেহুল চোক্সীরা? তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণই বা কত? এ বার এ সব বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে আদালতের সবুজ সঙ্কেতও পেয়ে গিয়েছে ইডির তদন্তকারী অফিসারেররা। মঙ্গলবার হংকং, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ ছয় দেশে লেটার্স রোগাটরিজ (এলআরএস) পাঠানোর জন্য ইডিকে অনুমতি দিল মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত।
১১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার পিএনবি-প্রতারণা মামলার তদন্তে নেমে বিদেশে নীরব মোদীর সম্পত্তি ও ব্যবসার হাল-হকিকৎ জানার জন্য এলআর জারির অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। সাধারণত, বিদেশে সম্পত্তির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের কাছ থেকে আইন মেনে তথ্য চাওয়ার জন্য যে আবেদন করা হয়, তাকেই বলে এলআর।
বেলজিয়াম, হংকং, সুইৎজারল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ আফ্রিকা মতো প্রায় অন্তত এক ডজন দেশে নীরব-মেহুলদের ব্যবসার তথ্য চাওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করে ইডি। প্রাথমিক ভাবে হংকং, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং সিঙ্গাপুর— এই ছয় দেশে লেটার্স রোগাটরিজ পাঠানোর বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে আদালত। ইডি সূত্রে খবর, শীঘ্রই ওই সব দেশে নীরবের ব্যবসা সংক্রান্ত নথি ও তথ্য চাওয়া হবে।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট বাতিল হল নীরবদের
এ প্রসঙ্গে ইডি-র এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিদেশে নীরব ও মেহুলের সম্পত্তির পরিমাণ এবং তাঁদের আয়ের উৎস খতিয়ে দেখা হবে। তদন্তে যদি জানা যায়, ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অর্থে সেই সম্পত্তি কেনা হয়েছে, তাহলে অর্থপাচার রোধ সংক্রান্ত আইনে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে।
আরও পড়ুন: মৃত্যুতে নীরব স্বস্তি!
ইডি সূত্রের খবর, বেলজিয়াম, হংকং, দুবাই থেকেই মূলত ব্যবসা চালাতেন নীরবরা। সেখান থেকেই হীরে, দামি রত্ন, সোনার গয়নার আমদানি-রফতানি হত। সোমবারই সিবিআই পাঁচটি সরকারি-বেসরকারি ব্যাঙ্কের মুখ্য ভিজিল্যান্স অফিসারদের চিঠি পাঠিয়ে তাদের পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য জানাতে বলেছে। কোনও ব্যাঙ্ক আর একটি ব্যাঙ্কের বিদেশি শাখায় বিদেশি মুদ্রা রাখলে তাকে নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট বলে। পিএনবি-র থেকে ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি হাতিয়ে নীরব মোদীরা কানাড়া ব্যাঙ্ক, স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, অ্যাক্সিস, ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ও এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের বিদেশি শাখা থেকে টাকা তুলেছিলেন। এই ব্যাঙ্কগুলির কাছেই তথ্য চেয়েছে সিবিআই।