Child Trampled to Death

অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে চার দিনের শিশুকে পায়ে পিষে মারল পুলিশ!

গিরিডি জেলার পুলিশ সুপার সঞ্জয় রানা জানিয়েছেন, শিশুটির দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তবে পায়ের তলায় চাপা পড়ে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

রাঁচী শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৩ ১১:৩৮
Share:

ঘর থেকে নিথর অবস্থার শিশুটির দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রতীকী ছবি।

চার মাসের এক শিশুকে পায়ের তলায় পিষে মারার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঝাড়খণ্ডের গিরিডি জেলার। যদিও পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাটি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন।

Advertisement

গিরিডি জেলার কোসোগন্ডদিঘি গ্রামে শিশুটির ঠাকুরদার খোঁজে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল পুলিশ। ভূষণ পাণ্ডে নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি হওয়ার পরই তাঁকে ধরতে কোসোগন্ডদিঘি গ্রামে যায় পুলিশ। তাদের দেখামাত্রই ভূষণ সপরিবারে বাড়ি ছেড়ে পালান। কিন্তু তাড়াহুড়োয় তাঁর চার মাসের নাতিকে বাড়িতেই ফেলে রেখে যান।

স্থানীয়দের দাবি, মেঝেতে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছিল সদ্যোজাতকে। ভূষণকে ধরতে হুড়মুড়িয়ে বাড়িতে ঢুকে পড়ে পুলিশবাহিনী। সেই সময় মেঝেতে শোয়ানো শিশুটি তাদের পায়ের নীচে চাপা পড়ে যায়। ভূষণকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশ বাড়ি ছাড়তেই আবার সকলে ফিরে আসেন। শিশুটির মা নেহা দেবীর অভিযোগ, পুলিশ বাড়িতে ঢুকে তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালায়। একটি ঘরে মেঝেতে শোয়ানো ছিল তাঁর চার দিনের সন্তান। বাড়িতে ফিরে দেখেন, নিথর হয়ে পড়ে রয়েছে শিশুটি। এর পরই শিশুটির পরিবার অভিযোগ তোলেন, অভিযুক্তকে ধরতে না পেরে শিশুটিকে পায়ের তলায় পিষে মেরেছে পুলিশ। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়।

Advertisement

গিরিডি জেলার পুলিশ সুপার সঞ্জয় রানা জানিয়েছেন, শিশুটির দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তবে পায়ের তলায় চাপা পড়ে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বন্যা গুপ্ত বলেন, “এই ধরনের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। যদি কেউ এই ঘটনায় জড়িত থাকেন, তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন