পুলিশের সামনে মার যাযাবর পরিবারকে

দু’দিন আগেই গো-রক্ষকদের হাতে মার খেয়েছিল জম্মু-কাশ্মীরের একটি যাযাবর পরিবার। সেই ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা গিয়েছে, পুলিশের কাছে সাহায্য চাওয়ার পরেও ওই পরিবারের সদস্যদের লোহার রড দিয়ে মারা হচ্ছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:২৩
Share:

দু’দিন আগেই গো-রক্ষকদের হাতে মার খেয়েছিল জম্মু-কাশ্মীরের একটি যাযাবর পরিবার। সেই ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা গিয়েছে, পুলিশের কাছে সাহায্য চাওয়ার পরেও ওই পরিবারের সদস্যদের লোহার রড দিয়ে মারা হচ্ছে। বাদ পড়েনি শিশু থেকে বৃদ্ধও। গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা কার্যত নীরব দর্শকের। বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে জম্মু-কাশ্মীরের রিয়াসি জেলার তালওয়ারা এলাকায় ওই যাযাবর পরিবারটিকে মারধর করে স্থানীয় গো-রক্ষক বাহিনীর কিছু লোক। ছিনিয়ে নেওয়া হয় তাদের সঙ্গে থাকা ১৬টি গরু, কিছু ছাগল ও ভেড়াকে।

Advertisement

এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গত কালই ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু ধৃত সকলের বিরুদ্ধেই জামিন যোগ্য ধারায় মামলা দিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশ কেন লঘু ধারায় মামলা দিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, যাযাবর পরিবারটিকে একটি টিনের ছাউনির মধ্যে কী ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। মাটিতে ফেলে লোহার রড দিয়ে মারা হচ্ছে পরিবারের বৃদ্ধ সদস্য, পঁচাত্তর বছরের সাবির আলিকে। বাদ যায়নি একটি ন’বছরের বালিকাও। যে ছাউনিতে ঘটানাটি ঘটেছে, সেটি আসলে একটি অস্থায়ী পুলিশ চেকপোস্ট। সাবির আলির পরিবার দৌড়ে গিয়ে পুলিশের শরণাপন্নও হয়েছিল। ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, নিরস্ত্র পুলিশ গো-রক্ষক বাহিনীকে বাধা দিতে গেলে তাদের সরিয়ে দেয় তারা। তার পর থেকে পাশে দাঁড়িয়ে ঘটনা চুপচাপ দেখে গিয়েছে পুলিশ।

ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পরে অস্বস্তিতে রাজ্য পুলিশ। তাহির ভাট নামে এক অফিসার জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আরও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই পরিবারের যে পশুগুলি গো-রক্ষক বাহিনী কেড়ে নিয়েছিল, সেগুলিকে উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু যাযাবর ওই পরিবারের কয়েক জন সদস্যের বিরুদ্ধেও মামলা করেছে পুলিশ। পুলিশের বক্তব্য, বন দফতরের অনুমতি ছাড়া এতগুলি গরু-ছাগল একসঙ্গে নিয়ে ঘোরার অনুমতি নেই রাজ্যে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement