ফুলে যাচ্ছে পেট। অসহ্য ব্যথা। ১০ বছরের মেয়ের কী হয়েছে, বুঝতে পারছিলেন না মা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে জানা যায়, পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা সে।
হরিয়ানার রোহতকে এই ঘটনায় ওই শিশুর এক আত্মীয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে।
শিশুটির মা আদতে বিহারের বাসিন্দা। রোহতকে দিনমজুরের কাজ করেন। পুলিশ জানায়, গত কয়েক মাস ধরে নানা অজুহাতে শিশুটিকে ধর্ষণ করেছে ওই আত্মীয়। ভয় দেখানোর জেরে প্রথমে এ বিষয় মুখই খুলতে চায়নি বছর দশের ওই নাবালিকা। পরে সব বললে তার মা গিয়ে মহিলা থানায় লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তবে মেয়েটিকে নিয়ে বেশ চিন্তিত চিকিৎসকেরা। হাসপাতাল সূত্র জানাচ্ছে, শিশুটি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। কী ভাবে তার চিকিৎসা এগোনো হবে, তা আলোচনা করতে সোমবার বৈঠকে বসবেন চিকিৎসকদের একটি বিশেষ দল।
রোহতকে এক তরুণীর নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরপরই আবার খবরে হরিয়ানা। যে ভাবে সেখানে পরপর ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন শিশু থেকে মহিলা, তাতে রাজ্যে তাদের নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
গত সপ্তাহের শুরুতে সোনেপত থেকে ২৩ বছরের এক তরুণীকে অপহরণ করে গণধর্ষণ করা হয়। ঘটনার চার দিন পরে রোহতকের কাছ থেকে ওই তরুণীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানায়, যাতে চিহ্নিত না করা যায়, তাই ভারী কিছু দিয়ে ওই তরুণীর মাথা ও মুখ থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। এমনকী দেহের উপর দিয়ে গাড়িও চালানো হয়েছে। যৌনাঙ্গে ধারালো অস্ত্র ঢোকানোরও চিহ্ন পেয়েছে পুলিশ। রাস্তায় পড়ে থাকায় কুকুরে খুবলে খেয়েছে তার দেহ। অভিযুক্ত সাত জনের মধ্যে দু’জন, সুমিত এবং বিকাশ নামে দুই যুবক গ্রেফতার হয়েছে।
তরুণীর পরিবারের দাবি, সুমতি অনেক দিন ধরেই উত্ত্যক্ত করছিল। এ নিয়ে পুলিশকে জানানো সত্ত্বেও তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
রোহতকের এই ঘটনার ভয়াবহতা গোটা দেশকে নির্ভয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর ইতিমধ্যেই একে দুর্ভাগ্যজনক বলেছেন। কংগ্রেসের সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীও বলেছেন, ‘‘এই বর্বর ও হাড় হিম করা ঘটনা ফের এক বার মহিলা সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।’’