বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার পর থেকেই ভোট করার দাবি উঠছে জম্মু-কাশ্মীরে। লোকসভা ভোটের সঙ্গে বিধানসভা ভোট না হওয়ায় রীতিমতো অবাক কাশ্মীরের মূলস্রোতের দলগুলি। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের ‘বর্তমান পরিস্থিতি’র জন্যই বিধানসভা ভোট করা যাচ্ছে না। বিরোধীদের মতে, এতে ফের বিশ্বের দরবারে নিজেদের ব্যর্থতার প্রমাণ দিল নরেন্দ্র মোদী সরকার।
৬টি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য ১১ এপ্রিল, ১৮ এপ্রিল, ২৩ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিল ও ৬ মে ভোট হবে জম্মু-কাশ্মীরে। অনন্তনাগে ভোট হবে ৩ দফায়। বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা ভোট হলেও সেই তালিকায় নেই ভূস্বর্গ। ২০২১ সালের ১৬ মার্চ পর্যন্ত মেয়াদ ছিল জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার। বিজেপি-পিডিপি জোট ভাঙার পরে টানাপড়েনে বিধানসভা ভেঙে দেওয়া হয়। আজ কমিশন জানিয়েছে, ভোটের ক্ষেত্রে কত বাহিনী পাওয়া যাচ্ছে তা মাথায় রাখতে হয়। প্রার্থী ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা প্রয়োজন। জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি মাথায় রেখেই বিধানসভা ভোট না করার সিদ্ধান্ত। লোকসভা ভোটের জন্য তিন জন বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে কমিশন। তার মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন সিআরপিএফ প্রধান এ এস গিল, প্রাক্তন আমলা নুর মহম্মদ ও বিনোদ জুৎসি। বিরোধীদের দাবি, মোদীর কাশ্মীর নীতির ব্যর্থতা ফের প্রমাণ হয়ে গেল। আজ নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরেই সরব হন ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতিরা। ওমর দাবি করেন, বালাকোট-উরি মোদীর সাফল্যের প্রমাণ নয়। মেহবুবার মতে, ‘‘কেন্দ্রের প্রতিনিধিদের হাতে রাজ্যের শাসনভার রাখা ঠিক নয়। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন।’’ বিরোধীদের দাবি, আসলে রাজ্যপালের শাসন বজায় রেখে দমননীতি চালিয়ে যেতে চায় কেন্দ্র।