অর্থলগ্নি মামলায় ধৃত কর্নাটকের রেড্ডি

সাত বছর আগে বেআইনি খনির মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সে বার ৪২ মাস বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থেকে জামিন পেয়েছিলেন কর্নাটকের জি জনার্দন রেড্ডি। আজ বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার একটি মামলায় পুলিশের হাতে ফের গ্রেফতার হলেন বিজেপির এই প্রাক্তন মন্ত্রী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৮ ০১:৩৩
Share:

জনার্দন রেড্ডি

সাত বছর আগে বেআইনি খনির মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সে বার ৪২ মাস বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থেকে জামিন পেয়েছিলেন কর্নাটকের জি জনার্দন রেড্ডি। আজ বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার একটি মামলায় পুলিশের হাতে ফের গ্রেফতার হলেন বিজেপির এই প্রাক্তন মন্ত্রী। প্রায় ১৮ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার দায়ে অভিযুক্ত রেড্ডিকে আগামী ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

বল্লারির করুণাকর, সোমশেখর এবং জনার্দন রেড্ডিকে ‘খনি মাফিয়া’-ই বলেন বিরোধীরা। রাজ্যে বি এস ইয়েদুরাপ্পার বিজেপি সরকার আসার পরে আরও ক্ষমতাশালী হয়ে উঠেছিলেন তাঁরা। গত বুধবার থেকেই বেপাত্তা ছিলেন বর্তমানে বিধান পরিষদের সদস্য জনার্দন রেড্ডি। তাঁকে পাওয়া যাচ্ছিল না ফোনেও। পুলিশ ‘পলাতক’ বলে ঘোষণাও করে তাঁকে। সেই সময়ে ভিডিয়ো বার্তায় রেড্ডি দাবি করেন, তিনি পালাননি। যথাসময়ে আত্মপ্রকাশ করবেন। গত কাল আইনজীবীকে নিয়ে সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের দফতরে হাজির হন তিনি। ওই দিন দুপুর থেকে রাত ২টো পর্যন্ত জেরা করা হয় তাঁকে। এসিপি (ক্রাইম) অজয় কুমার জানান, আজ সকালে রেড্ডিকে গ্রেফতার করা হয়। তহবিল তছরুপ, প্রতারণা-সহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই মামলায় আটক করা হয়েছে আলি খান নামে রেড্ডির এক ঘনিষ্ঠ সহযোগীকেও। তবে পদ্ধতিগত জটিলতায় আলির গ্রেফতারি কার্যকর করা যায়নি।

রেড্ডির বিরুদ্ধে অভিযোগ, অ্যাম্বিডেন্ট মার্কেটিং প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার মালিক সৈয়দ আহমেদ ফরিদকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর তদন্ত থেকে বাঁচিয়ে দেওয়ার নাম করে ১৮ কোটি টাকা নিয়েছিলেন তিনি। তবে নগদে নয়, এই লেনদেন হয়েছিল সোনায়। ফরিদের দাবি, আলি খানের মাধ্যমে রেড্ডির সঙ্গে দেখা হয়েছিল তাঁর। রেড্ডি ২০ কোটি টাকা দাবি করেন। সেই মতো ১৮ কোটি টাকা মূল্যের ৫৭ কেজি সোনা আলি খানের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। খানকেও বেশ কিছু দিন ধরে খুঁজছিল পুলিশ।

Advertisement

গ্রেফতারি নিয়ে রেড্ডির অভিযোগ, সবই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। পুলিশ বলেছে, প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে তদন্ত চালাচ্ছে তারা। এর সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন