রাস্তা মেরামতের দাবিতে আজ ফের পথে নামেন রংপুর এলাকার একদল মানুষ। জেলা প্রশাসন ও পূর্ত কর্তারা গিয়ে কথা বললেও ক্ষোভ কমেনি। পরে পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে রাস্তা অবরোধমুক্ত করে।
গত ২৩ জুলাই একই দাবিতে রংপুর এলাকায় পথ অবরোধ হয়েছিল। জেলা প্রশাসন সোমবারের মধ্যে রাস্তার কাজ শুরুর প্রতিশ্রুতি দিলে আন্দোলন সাময়িক ভাবে প্রত্যাহার করা হয়। পূর্ত বিভাগ পরে রাস্তার পাশে পাথরের স্তুপ গড়ে। কিন্তু সেই পাথর আর কাজে লাগানো হয়নি। বৃষ্টির দরুন আজ সকালে রংপুরে ৩৭ নং জাতীয় সড়কের ওপর প্রায় কোমর জল দাঁড়িয়ে যায়।
একে তো রাস্তায় বড় বড় গর্ত। এর উপর নর্দমাও বন্ধ। চলাচল কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। এর মধ্যে এক মোটর সাইকেল চালক গর্তে পড়ে গিয়ে বেশ জখম হন। এতেই ক্ষোভের পারদ চড়ে স্থানীয় জনতার। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ রাস্তা অবরোধে নামেন তাঁরা। তাতে দু’দিকে প্রচুর যানবাহন দাঁড়িয়ে পড়ে। শহর জুড়ে যানজট বাড়ে। উধারবন্দের সার্কেল অফিসার কুলদীপ হাজরিকা ও পূর্ত বিভাগের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার মলয় দেব অবরোধ স্থলে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। মলয়বাবু তাঁদের আশ্বস্ত করেন, জমিয়ে রাখা পাথর আজই গর্তগুলিতে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। জমা জল বের করে দেওয়ারও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আন্দোলনকারীরা জোড়াতালি মানবেন না বলে জানিয়ে দেন। মলয়বাবুরও এক কথা, নতুন করে রাস্তা তৈরির জন্য প্রক্রিয়াগত কাজকর্ম চলছে। তা চূড়ান্ত হওয়ার আগে রাস্তা নির্মাণ সম্ভব নয়। আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর পুলিশ লাঠিয়ে উঁচিয়ে আন্দোলনকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। ফের শুরু হয় যানবাহন চলাচল।
উধারবন্দের বিধায়ক মিহিরকান্তি সোম এই ধরনের আন্দোলনের জন্য প্রাক্তন মন্ত্রী অজিত সিংহকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ২০ বছর তিনি উধারবন্দের বিধায়ক ছিলেন। কাজের বদলে রাস্তাঘাটে বড় বড় গর্ত তৈরি করে গিয়েছেন। আর বিজেপি সরকার গড়ার দু’মাস পেরনোর আগেই তিনি মানুষকে আন্দোলনে উস্কে দিচ্ছেন। মিহিরবাবু বলেন, রাস্তার কাজের জন্য তিনি পূর্তমন্ত্রী এবং বিভাগীয় কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন।