সভাপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু কংগ্রেসে

পশ্চিমবঙ্গে অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে প্রদীপ ভট্টাচার্যকে প্রদেশ সভাপতি করার জল্পনাও রয়েছে। তবে বিষয়টি ছেড়ে দেওয়া হবে হাইকমান্ডের উপরেই। প্রশিক্ষণ শেষ হলে কং‌গ্রেস সভাপতির নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৭ ০২:৪৯
Share:

রাহুল গাঁধীর অভিষেকের সম্ভাবনার মধ্যেই দলের সভাপতি পদে নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করে দিল কংগ্রেস।

Advertisement

দিল্লিতে এআইসিসি সদর দফতরে আজ বিভিন্ন রাজ্যের দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে এই নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে, এ মাসের ১০ তারিখের মধ্যে প্রদেশ কংগ্রেসের নির্বাচন শেষ করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে প্রদীপ ভট্টাচার্যকে প্রদেশ সভাপতি করার জল্পনাও রয়েছে। তবে বিষয়টি ছেড়ে দেওয়া হবে হাইকমান্ডের উপরেই। প্রশিক্ষণ শেষ হলে কং‌গ্রেস সভাপতির নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হবে। গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে। কিন্তু এক জনই প্রার্থী হলে নাম প্রত্যাহারের দিনই ঘোষণা হবে নতুন সভাপতির নাম।

গত কয়েক মাস ধরেই রাহুলকে সভাপতি করা নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন দলের নেতারা। তাঁদের মতে, রাহুল গাঁধী দলের সভাপতি হলে সনিয়া গাঁধী থাকবেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন হিসেবে। সাম্প্রতিক অতীতে দলের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ঐকমত্যের ভিত্তিতেই। যদিও ২০০০ সালে সনিয়া গাঁধীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন জিতেন্দ্র প্রসাদ। কিন্তু ভোটে ভরাডুবি হয়েছিল তাঁর। তার আগে একবার দলের আনুষ্ঠানিক প্রার্থী সীতারাম কেশরীকে চ্যালেঞ্জ জানাতে আসরে নেমেছিলেন রাজেশ পায়লট আর ‘মরাঠা স্ট্রংম্যান’ শরদ পওয়ার। কিন্তু তাঁরাও ভোটে টিকতে পারেননি। এ বারে অবশ্য রাহুল ছাড়া অন্য কোনও নাম আসার সম্ভাবনা দেখছে না কংগ্রেস। দীপাবলির পরেই যাতে নাম ঘোষণা হয়, সেই হিসেব করেই নির্ঘণ্ট সাজানো হবে।

Advertisement

গত কয়েক মাস ধরে দলের সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর কাজে সক্রিয় রাহুল। আমেরিকার সফরের সময় যে ভাবে তিনি নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করেছেন, তাতে শুধু কংগ্রেসই চাঙ্গা হয়নি, ভাঁজ পড়েছে বিজেপির কপালেও। নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরাও এখন রাহুলকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। সে কারণেই লাগাতার আক্রমণও করছেন। অমিত শাহের সভার আগে রাহুলের নির্বাচনী কেন্দ্র অমেঠীতে যাওয়াও আটকাতে চেয়েছিল উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই রাহুল কাল উত্তরপ্রদেশ যাচ্ছেন। শুধু নিজের কেন্দ্র নয়, সনিয়ার কেন্দ্র রায়বরেলীতেও যাবেন তিনি।

উত্তরপ্রদেশের পর্যটন পুস্তিকা থেকে তাজমহলকে বাদ দেওয়া নিয়ে এখন বিতর্ক তুঙ্গে। ক’দিন আগেই যোগী বলেন, ‘‘তাজমহল ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ নয়।’’ আজ রাহুল টুইট করে বলেন, ‘‘সূর্যকে আলো না দেখালে তার আলো কমে যায় না।’’ এর পরেই হরিশচন্দ্রের নাটক উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘অন্ধের নগরী, চৌপট রাজা’। ওই নাটকে এক বিবেকহীন ও নিরঙ্কুশ রাজা নিয়ে ব্যঙ্গ করা হয়েছে। রাহুল তা উদ্ধৃত করে উত্তরপ্রদেশ যাওয়ার আগে যোগী আদিত্যনাথকেই খোঁচা দিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন