প্রতীকী ছবি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে ছত্তীসগঢ়ের গরিব চাষি চন্দ্রমণি কৌশিকের কথোপকথন বিতর্ক নিয়ে উত্তাল রাজধানী।
প্রধানমন্ত্রীর শেষ ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ছত্তীসগঢ়ের কাঁকে জেলার চাষি চন্দ্রমণি বলেছিলেন, চাষ করে তাঁর আয় বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের পরে দিল্লির একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি ফের তাঁর কাছে যান। সে সময় চন্দ্রমণি দাবি করেন, আসলে তাঁর আয় বাড়েনি। তিনি জানান— ওই অনুষ্ঠানের আগে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীরা তাঁর কাছে এসে শিখিয়ে দিয়ে যান, প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নের জবাবে তিনি কী বলবেন। বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যম সরব হতেই টুইট করে রাহুল গাঁধী বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী আপনি নিজের মনের কথা জানাতেন এটা সবাই জানত। আজ বুঝতে পারলাম, আপনি কেবল আপনার নিজের মনের কথা শুনতেও চান।’’ কংগ্রেসের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নিজের পছন্দের উত্তর শুনতে প্রয়োজনে চাষিদের দিয়েও মিথ্যে কথাও বলাচ্ছেন।
কংগ্রেসের এই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজেপি। সরাসরি দলের পক্ষে মুখ না খুললেও, আর একটি সংবাদমাধ্যমের বক্তব্যকে ঢাল করেছে বিজেপি। নেতাদের অভিযোগ, দিল্লির সংবাদমাধ্যম পরিকল্পিত ভাবে প্রধানমন্ত্রী তথা সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার করছে। বিজেপির দাবি, স্থানীয় সংবাদমাধ্যম যখন ওই মহিলার কাছে গেলে চন্দ্রমণি জানান— তিনি বলেছিলেন ধান চাষে তাঁর আয় কমেছে ঠিকই। কিন্তু আতা ফলের প্রক্রিয়াকরণ করে তাঁর আয় বেড়েছে। কিন্তু দিল্লির বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম পরিকল্পিত ভাবে তাঁর ধান চাষের আয় কমার উল্লেখ করলেও, আতা চাষে আয় বাড়ার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: আলোচনা কম বলেই দুর্নীতি স্বাস্থ্যে: অমর্ত্য
তবে চলতি বিতর্কে একটি বিষয় সামনে এসে গিয়েছে, যা বিজেপি নেতাদের অস্বস্তি নিশ্চিত ভাবেই বাড়িয়েছে। সেটা হল— মোদীর সঙ্গে কথোপকথনের আগে সত্যিই ওই মহিলাকে শিখিয়ে-পড়িয়ে এসেছিলেন পিএমও-র অফিসারেরা।