বরাক বঙ্গের কমিটি গঠনে উত্তেজনা

বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিতে ‘নারী-বর্জিত’ হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সংগঠনের মহিলা সদস্যরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দি শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:২২
Share:

বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিতে ‘নারী-বর্জিত’ হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সংগঠনের মহিলা সদস্যরা।

Advertisement

আজ করিমগঞ্জে বরাক উপত্যকা বঙ্গসাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের বাৎসরিক উৎসব শুরু হয়। করিমগঞ্জ কলেজে অন্যান্য অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বার্ষিক সাধারণ সভা ও কেন্দ্রীয় দ্বিবার্ষিক অধিবেশন হয়। সম্পাদকের প্রতিবেদন ও কোষাধ্যক্ষের আয়-ব্যয়ের হিসেব পেশের পর শুরু হয় ঝামেলা।

Advertisement

সম্পাদকের প্রতিবেদনে নাগরিকত্বের উল্লেখ নিয়ে রথীন্দ্র ভট্টাচার্য প্রস্তাব রাখতে চান। তিনি সেই প্রসঙ্গে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর কথা তোলেন। কিন্তু সদস্য আসন থেকে তাঁকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। মঞ্চে উঠে রজত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কোনও প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে সমালোচনা মেনে নেওয়া যায় না।’’ উত্তেজনা কিছুটা স্তিমিত হওয়ার পর কেন্দ্রীয় কমিটির এক সদস্যের মন্তব্যে ফের শুরু হয় ঝামেলা।

কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়, রাজনৈতিক কোনও ব্যক্তিত্বকে বরাক বঙ্গের কমিটিতে মনোনীত করা যাবে না। সদস্যদের একাংশ তাতে আপত্তি তোলেন। কোষাধ্যক্ষ বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য জানান, কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত বদলানো যাবে না। তার পরিপ্রেক্ষিতে সদস্যদের একাংশ বলেন— ‘কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত বদলানো না হলে সাধারণ সভার প্রয়োজনীয়তা কোথায়?’ পরিস্থিতি সামলাতে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নীতিশ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘নতুন কমিটি এই ব্যাপারে বিবেচনা করবে।’’ ঠিক তখনই এক সদস্য মঞ্চে উঠে আসুর সঙ্গে আসাম চুক্তির কথা উল্লেখ করেন। করিমগঞ্জ কলেজের প্রেক্ষাগৃহে ফের শুরু হয় বাকযুদ্ধ। দেখা যায়— কেউ মঞ্চে উঠে যাচ্ছেন, কেউ হাতাহাতি করছেন অন্য কারও সঙ্গে। তার মধ্যেই কোনও ভাবে নীতিশবাবু পুরনো কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠনের কথা উল্লেখ করেন। তাতে কোনও মহিলার নাম ছিল না।

সভার শেষে বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির এক মহিলা সদস্য মঞ্চে উঠে বলেন, ‘‘বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের কমিটিতে মহিলাদের কোনও জায়গা নেই। তাই এর পর থেকে কোনও সভায় মহিলারা সামিল হবে না।’’

আসুর বিক্ষোভ। স্কুলে স্কুলে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণে দেরি হওয়ার অভিযোগে বিক্ষোভ দেখালেন সারা আসাম ছাত্র সংস্থার হাইলাকান্দি জেলা কমিটির সদস্যরা। আজ আসু সদস্যরা হাইলাকান্দি শিক্ষা কার্যালয়ের সামনে ধর্না দেন। প্রতিশ্রুতিমতো বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের দাবি জানান। শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয়। আসু নেতাদের অভিযোগ, নতুন শিক্ষাবর্ষের পড়াশোনা শুরু হলেও বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী তা হাতে পায়নি। হাইলাকান্দির আসু নেতা আহমেদ হুসেন লস্কর, সুরজিৎ শর্মা মজুমদার অভিযোগ করেন, জানুয়ারির মধ্যে বিদ্যালয়ে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ-পর্ব শেষ করার কথা দিলেও, বাস্তবে তা হচ্ছে না। এ বিষয়ে পদক্ষেপ করতে আসু মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের হস্তক্ষেপ চেয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন