প্রথমে মণিপুরের সব আসনে লড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন ইরোম শর্মিলা চানু। কিন্তু ১৬ বছরের অনশন শেষে রাজনীতির ময়দানে নেমে চানু বুঝেছেন নিছক আদর্শ দিয়ে ভোটে লড়া যায় না। পরে তিনি জানান, অন্তত ২৫টি আসনে লড়বে তাঁর দল ‘প্রজা’ (পিপলস রিসার্জেন্স অ্যান্ড জাস্টিস অ্যালায়েন্স)। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অর্থবল ও লোকবলের অভাবে ৬০ আসনের বিধানসভায় মাত্র ১০টি আসনে তাঁর দল লড়বে বলে জানালেন তিনি। সেইসঙ্গে চানুর দাবি, বিজেপির হয়ে লড়লে তাঁকে ৩৬ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্রের শাসক দল।
তাঁর ছায়াসঙ্গী, প্রবীণ মানবাধিকার কর্মী নাজমা ফুংদ্রেইমায়ুমের ওয়াবাগাই কেন্দ্র থেকে লড়তে নামছেন। তিনিই প্রথম পাঙ্গাল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মহিলা প্রার্থী। কিন্তু নাজমার সম্প্রদায় ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, ভোটের ময়দানে নামায় নিজের গ্রামে কবরের মাটি পাবেন না তিনি। সব মিলিয়ে তাঁরা যে মণিপুরে নতুন সরকার গড়তে পারবেন না তা বিলক্ষণ বুঝেছেন চানু এবং তাঁর সঙ্গীরা। তবে প্রজার আহ্বায়ক ইরেন্দ্র লোইতংবামের মতে, একটা নতুন লড়াই, সমাজ বদলের লড়াই রাতারাতি লড়া যায় না। তাঁদের সংগ্রামের প্রক্রিয়া সবে শুরু হয়েছে। মানুষ তাঁদের ‘টেন ফর চেঞ্জ’ অভিযানে ব্যাপক সাড়া দিয়ে অর্থ সাহায্য করছেন।
শর্মিলার দাবি, তাঁকে মোটা টাকা দিয়ে ভোটে লড়তে বলেছিল বিজেপি। বিজেপি এ বার কংগ্রেসকে হারাতে মরিয়া হলেও তাদের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার মতো যোগ্য মুখ নেই। ভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন- তা নিয়ে বর্তমান ও প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতির লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপির হয়ে লড়তে রাজি হননি মেরি কম। তাই চানুকে হাতে পেলে বিজেপির শক্তি অনেকটাই বাড়ত বলে ধারণা রাজনীতিকদের। চানুর দাবি নিয়ে রাজ্য বিজেপি কোনও মন্তব্য করেনি।