নদী নয়। গুয়াহাটির রাজপথ। মঙ্গলবারের বৃষ্টির পর। ছবি: পিটিআই
আশঙ্কাটা কি সত্যিতে পরিণত হতে চলল? লাগাতার বৃষ্টিপাতের দরুন নিউ হাফলং থেকে হারাঙ্গাজাও পর্যন্ত রেললাইনে যাত্রিবাহী ট্রেন চলাচল স্থগিত রাখার পরামর্শ দিয়েছেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের চিফ ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ার অলোককুমার বার্মা।
তিনি আজ লামডিঙের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারকে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছেন, নিউ হাফলং থেকে হারাঙ্গাজাও অংশটি পুরনো মিটারগেজ লাইন ছেড়ে পুরোপুরি নতুন জায়গায় তৈরি। এই অংশেই বড় বড় সুড়ঙ্গ। রয়েছে বেশকটি সেতুও। তাই লাগাতার বৃষ্টিপাতের দরুন ক–দিন এই অংশে শুধু মালগাড়ি চালানো হোক। তাও দিনের আলোয় সর্বোচ্চ ২০ কিলোমিটার গতিতে। নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় ১০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে না-চালাতেও পরামর্শ তাঁর।
তাঁর কথায়, ‘‘উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের নির্মাণ শাখা জিওটেকনিক্যাল ও জিওলজিক্যাল দিকগুলি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা করবে।’’
তবে শিলচরের স্টেশন সুপার বিপ্লব দাস জানিয়েছেন, এখনও যাত্রিবাহী রেল পরিষেবা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়নি। কালকের শিলচর-গুয়াহাটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সময়সীমায় সামান্য পরিবর্তন করা হয়েছে। ভোর পাঁচটার পরিবর্তে এই ট্রেন শিলচর থেকে ছাড়া হবে সকাল ৯টায়। তবে পরদিনের শিলচর-গুয়াহাটি বা অন্য ট্রেন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।
চিফ ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারের পরামর্শ মেনে নিলে বরাক উপত্যকা ফের রেললাইনে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল। কারণ নিউ হাফলং-হারাঙ্গাজাও ৩১ কিলোমিটার অংশ বাদ দিয়ে শিলচর থেকে বেরনোর বিকল্প রুট নেই। এ নিয়ে বরাকে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, ১৮ বছর অপেক্ষার পর ব্রডগেজ মিললেও তা বৃষ্টির মরসুমে বন্ধ থাকলে লাভটা কী হল! নির্মাণে ত্রুটি ও খামখেয়ালিপনা নিয়ে উপত্যকার বিভিন্ন সংগঠন বারবার প্রতিবাদ করেছিল। রেলকর্তারা তখন গুরুত্ব দেননি।