হাসপাতালের পথে: বুধবার এ ভাবেই পুলিশ তুলে নিয়ে যায় অনশনরত আগরওয়ালকে। সোশ্যাল মিডিয়া
গঙ্গাকে দূষণমুক্ত করার দাবি নিয়ে গত চার মাস ধরে হৃষীকেশের কনখলে অনশন করছিলেন। গত কাল রাতে উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকারের পুলিশ তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে হৃষীকেশের এইমস হাসপাতালে। আজ সেখানেই মারা যান পরিবেশবিদ জি ডি আগরওয়াল। বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
সাত বছর আগে এ ভাবেই গঙ্গা পরিশোধনের দাবি তুলে চার মাস ধরে অনশন করে মারা গিয়েছিলেন হরিদ্বারের স্বামী নিগমানন্দ। কিন্তু তার পরেও কোনও কার্যকরী ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। গঙ্গার দূষণ ক্রমশই ভয়াবহ আকার নিয়েছে। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর আমলে ‘গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান’ থেকে নরেন্দ্র মোদী সরকারের ‘নমামি গঙ্গে’— একের পর এক প্রকল্প ঘোষণা হলেও তাতে কাজ কিছু হয়নি। উল্টে উত্তরাখণ্ডের প্রতিটি নদীর উজানে একের পর এক বাঁধ দিয়ে নদীগুলির সর্বনাশ করা হয়েছে বলে বারবার সরব হয়েছেন পরিবেশবিদেরা। এই অবস্থায় গঙ্গা বাঁচানোর দাবিতে গত ২২ জুন থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য অনশনে বসেন কানপুর আইআইটি-র প্রাক্তন অধ্যাপক অশীতিপর জি ডি আগরওয়াল। গঙ্গাকে রক্ষা করার জন্য আইন প্রণয়নের দাবির পাশাপাশি গঙ্গোত্রী থেকে উত্তরকাশীর মধ্যে গঙ্গার বহমানতা যেন কোনও ভাবে বাধা না পায়— সেই দাবিও জানিয়েছিলেন জি ডি ওরফে স্বামী জ্ঞানস্বরূপ সানন্দ।
জি ডি-র মৃত্যুতে শোক জানিয়ে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সেই টুইট ঘিরে অনেকেই সমালোচনায় ফেটে পড়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, শোক জানিয়ে নয়, এ বার অন্তত কাজের কাজ করে দেখান মোদী। আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ টুইটে বলেছেন, ‘‘উত্তরাখণ্ড পুলিশ তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে গত কাল হাসপাতালে ভর্তি করে। গঙ্গা রক্ষায় তাঁর আর্জি মোদীর কান পর্যন্ত পৌঁছয়নি। আগরওয়াল স্যর, আপনি শান্তিতে থাকুন। এই পৃথিবী পবিত্র মানুষদের জন্য নয়।’’