দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গে ‘ম্যাগি’ বিক্রি বন্ধ না হওয়ায় একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। মামলার আবেদনকারী সুবীর দে-র আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী মঙ্গলবার জানান, কেন্দ্রীয় খাদ্য সুরক্ষা নিয়ামক সংস্থা ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া’ (এফএসএসএআই) ৫ জুন একটি নির্দেশ জারি করে নেসলে সংস্থাকে বলেছে, বাজার থেকে ম্যাগির ন’ধরনের নুডল তুলে নিতে। মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, মুম্বই, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা, উত্তরাখণ্ড, দিল্লি, গুজরাত ও মধ্যপ্রদেশ সরকার ম্যাগি বিক্রির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কিন্তু এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও ওই পণ্যের বিক্রির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেননি। উল্টে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, গবেষণাগারে পাঁচ দফা পরীক্ষার পরেও আপত্তিকর কিছু মেলেনি।
মামলার আবেদনকারী আরও জানান, নেসলেও নিজেই বাজার থেকে ম্যাগির সব স্টক তুলে নিচ্ছে। এ রাজ্য থেকেও যাতে সব পণ্য প্রত্যাহার হয়, হাইকোর্ট সেই নির্দেশ দিক। তা না হলে এ রাজ্যে বেআইনি বিক্রি বাড়বে।
একই সঙ্গে এ দিন ম্যাগির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরদের পাশে দাঁড়ান বিরোধী দল কংগ্রেস। জামশেদপুরে এআইসিসি মুখপাত্র অজয় কুমার বলেছেন, ম্যাগিতে মাত্রাতিরিক্ত সিসা বা মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট (আজিনামোতো) রয়েছে, এই তথ্য জেনে বলিউড অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন, মাধুরী দীক্ষিত বা প্রীতি জিন্টা এই নুডলের প্রচার করেননি। অজয়ের বক্তব্য, ‘‘ওঁরা যদি জেনেশুনে এই কাজ করতেন, তা হলে ওঁদের শাস্তি হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা হয়নি। সে ক্ষেত্রে যে সব টিভি চ্যানেল বা দৈনিকে ম্যাগির বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়েছে, ব্যবস্থা নিতে হয় তাদের বিরুদ্ধেও।’’
এর মধ্যে এফএসএসএআই জানায়, হিন্দুস্তান ইউনিলিভার সংস্থার চটজলদি নুডল নর তাদের অনুমোদিত তালিকায় নেই। তাই তাদের পণ্যও এ বার খতিয়ে দেখা হবে। ইতিমধ্যে ভারত থেকে আমদানি করা ম্যাগি বিক্রির উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হলেও তা তুলে নিয়েছে সিঙ্গাপুর।