পুলওয়ামায় জইশ হামলার তথ্য-প্রমাণের নথি ইসলামাদকে দেওয়া হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে সরকারের অন্দরে। —ফাইল চিত্র।
পুলওয়ামায় জইশ হামলার তথ্য-প্রমাণের নথি (ডশিয়ের) ইসলামাদকে দেওয়া হবে কি না এই নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে সরকারের অন্দরে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রথমে পাকিস্তানকে প্রমাণের নথি দিতে রাজি হলেও, এতে কোনও লাভ হবে না ধরে নিয়ে এখন তা না-দেওয়ার পক্ষেই কেন্দ্র। বরং বিকল্প পথ হিসেবে ওই সব তথ্য আমেরিকা-সহ বিশ্বের দেশগুলির সামনে বিশদে তুলে ধরে পাকিস্তানের জঙ্গি-যোগের বিষয়টি তুলে ধরার পক্ষপাতী ভারত।
পুলওয়ামা হামলার পর পরই ইসলামাবাদ থেকে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অজয় বিসারিয়াকে নয়াদিল্লিতে ডেকে আনা হয়েছিল আলোচনার জন্য। আজ তাঁর সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। পরে যোগ দেন আমেরিকায় ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন সিঙ্গলাও। সূত্রের খবর, পাকিস্তানকে এই বিস্ফোরণের তথ্য-প্রমাণ তুলে দিলে আদৌ কোনও লাভ কি না, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। প্রথমে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কথা মতো ‘নয়া মানসিকতার পাকিস্তান’-এ আস্থা দেখিয়ে প্রমাণের নথি দেওয়ার পক্ষেই ইচ্ছা প্রকাশ করে কেন্দ্র।
কিন্তু আলোচনায় ওঠে অতীতের অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গ। ২০০৮ সালের মুম্বই হামলা থেকে শুরু করে পঠানকোট সেনা ছাউনিতে আক্রমণ— বারবারই ভারত তথ্যপ্রমাণ তুলে দিয়েছে পাকিস্তানের হাতে। বিভিন্ন সময়ে কী ভাবে পাকিস্তানে বসে হামলার ছক কষা হয়েছে, জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে পাঠানো হয়েছে এবং তা কার্যকর করা হয়েছে— সব বিশদে জানিয়েছে নয়াদিল্লি। এমনকি জঙ্গিদের নাম-ঠিকানা, তারা কোন কোন ফোন নম্বর থেকে যোগাযোগ রেখেছে, দেওয়া হয়েছে তা-ও। কিন্তু লাভের চেয়ে ক্ষতিই হয়েছে বেশি। আরও সতর্ক হয়েছে জঙ্গিরা। এই কারণে বৈঠকে নথি দেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি ওঠে। বরং অন্যান্য দেশকে তথ্য জুগিয়ে পাকিস্তানের উপরে চাপ বাড়ানোর কৌশল নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে।
আরও পড়ুন: সুর নরম করে পাকিস্তানকে ফের আলোচনারই বার্তা মোদীর
আরও পড়ুন: ‘আমাদের বাবাও সন্ত্রাসের শিকার’, নিহতদের পরিজনদের বললেন প্রিয়ঙ্কা-রাহুল