কাশ্মীরি পড়ুয়াদের হেনস্থা কই? প্রশ্ন জাভড়েকরের

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে নিয়োগ করা সিআরপি-র হেল্পলাইন দিন-রাত বেজে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন ওই আধা সামরিক বাহিনীর কর্তারা।

Advertisement

অনমিত্র সেনগুপ্ত

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:৪৮
Share:

পুলওয়ামা হামলার পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কাশ্মীরি পড়ুয়াদের হেনস্থা করার অভিযোগ কার্যত খারিজই করে দিলেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। —ফাইল চিত্র।

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কাশ্মীরি পড়ুয়াদের হেনস্থা করার অভিযোগ কার্যত খারিজই করে দিলেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। উল্টে তাঁর দাবি, এ ধরনের কোনও ঘটনা দেশের কোথাও ঘটেনি। কাশ্মীরের ছাত্র-ছাত্রীরা অকারণে ভয় পাচ্ছেন।

Advertisement

অথচ, সিআরপি বলছে অন্য কথা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে নিয়োগ করা সিআরপি-র হেল্পলাইন দিন-রাত বেজে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন ওই আধা সামরিক বাহিনীর কর্তারা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কাশ্মীরিদের উপর হামলা হচ্ছে ওই খবর আসতেই ওই হেল্পলাইন চালু করে সিআরপি। গত তিন দিনে সাহায্য চেয়ে প্রায় তিনশো ফোন এসেছে বলে বাহিনী সূত্রে দাবি করা হয়েছে। অধিকাংশ ফোনই করেছেন পড়ুয়ারা। অথচ, মন্ত্রী জাভড়েকরের দাবি, ‘‘কাশ্মীরের কোন ছাত্র বা ছাত্রীই হেনস্থার শিকার হননি’’

উচ্চশিক্ষার খাতিরে যারা উপত্যকার গণ্ডি টপকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পড়তে গিয়েছেন, সেই সব ছাত্রছাত্রীরা পুলওয়ামা কাণ্ডের পর থেকেই অস্বস্তিতে। বৃহস্পতিবারের ওই বিস্ফোরণের পর কোথাও এঁদের উপর সরাসরি হামলা হয়েছে আবার কোথাও এলাকা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে যাওয়ার চাপ এসেছে। কাশ্মীরি পড়ুয়াদের হেনস্থার ঘটনা সব চেয়ে বেশি হয়েছে উত্তরাখণ্ড ও হিমাচলপ্রদেশে। দেহরাদূনে একটি কলেজ থেকে কাশ্মীরিদের বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানোয় আজ ২২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Advertisement

কাশ্মীরি ছাত্রদের হেনস্থা করার ভিডিয়ো এসেছে অম্বালা থেকেও। সেখানে কাশ্মীরের দুই ছাত্রকে অবিলম্বে বাড়ি খালি করে চলে যেতে বলেন মালিক ও স্থানীয়রা। পার্শ্ববর্তী রাজ্য বলে পঞ্জাবের অম্বালা জেলায় ৬০০-র বেশি কাশ্মীরি পড়ুয়া থাকেন। তাঁদের নিরাপত্তার সম্পূর্ণ ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে অমরিন্দর সিংহ প্রশাসন।

এ দিকে সিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘মদদগার’ নামে তাদের হেল্প লাইনে এই ক’দিনে ৩০০-র বেশি পড়ুয়ার ফোন এসেছে। গুরুগ্রাম থেকে নয়ডা, হায়দরাবাদ থেকে জয়পুর— দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আতঙ্কিত হয়ে যাঁরা ফোন করছেন, তাদের অধিকাংশই ছাত্রী। সিআরপি জানিয়েছে, এদের প্রত্যেককে স্থানীয় পুলিশের পক্ষ থেকে সাহায্য দেওয়া হয়েছে। যারা কাশ্মীরে ফিরে আসতে চায় সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও জাভড়েকরের দাবি, ‘‘যে ভাবে দেখানো হচ্ছে, কাশ্মীরি পড়ুয়াদের সেই রকম ভয়ের কোনও কারণ নেই। পুলওয়ামা হামলার কারণে দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ। কিন্তু সে জন্য কোনও কাশ্মীরি পড়ুয়াকে কোথাও হেনস্থা করা হয়নি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন