দেশের সবকটি বিমানবন্দরে সতর্কাতমূলক ব্যবস্থা হিসেবে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হচ্ছে।
বাছা বাছা কয়েকটি শহরের ক্ষেত্রে আগেই বাড়ানো হয়েছিল নিরাপত্তা। এ বার দেশের সবকটি বিমানবন্দরে সতর্কাতমূলক ব্যবস্থা হিসেবে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হচ্ছে।
শনিবার এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। সেখানে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপি বাহিনীর কনভয়ে জঙ্গি হামলার পরে জঙ্গিদের নিশানায় রয়েছে বিমানবন্দরগুলি। গোয়েন্দারা এ নিয়ে কেন্দ্রকে সতর্ক করার পরে নতুন করে এ নিয়ে নির্দেশিকা জারি হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে সমস্ত বিমান সংস্থাকেও।
কেন্দ্রীয় বিমান মন্ত্রকের অধীনে থাকা ‘দ্য বুরো অব সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি’ (বিসিএএস) প্রতিটি রাজ্যের পুলিশ কর্তা, সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ) এবং প্রতিটি বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলিকে সতর্ক করেছে। কেন্দ্রের ওই নির্দেশিকায় শুধুমাত্র বিমানবন্দরই নয়, সতর্ক করা হয়েছে বায়ুসেনা ঘাঁটি, এয়ারস্ট্রিপ, এয়ারফিল্ড, হেলিপ্যাড, ফ্লাইং স্কুল, বিমান প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিকেও।
বিশেষ সতর্কতা হিসেবে নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে মেনে চলতে বলা হয়েছে কুড়িটি পদ্ধতি। পরবর্তী নোটিস জারির আগে পর্যন্ত এই বিশেষ পদ্ধতিগুলি মেনে চলার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরের প্রতিটি প্রবেশ পথেও বাড়ানো হচ্ছে নিরাপত্তা। প্রবেশ পথে যাতে কোনও গাড়ি দাঁড়াতে না পারে, নির্দেশে তা-ও বলা হয়েছে। বিমানবন্দরের পার্কিং লটে দাঁড়ানো গাড়িগুলিকে যেতে হবে আরও কড়া চেকিংয়ের মধ্যে। বিমানে ওঠার আগে যাত্রী ও তাঁদের হ্যান্ডব্যাগগুলিকে যে যে পরীক্ষার মাধ্যমে যেতে হয়, তার মাত্রাও বাড়ানো হয়েছে। বিমানবন্দরে যাত্রীদের সঙ্গে দেখা করতে আসা ব্যক্তিরা যে জায়গায় দাঁড়ান, সেখানকার নিরাপত্তাও বাড়ানো হচ্ছে।
শুধু যাত্রিবাহী বিমানই নয়, প্যারাগ্লাইডার, ইউএএস (আনম্যানড এরিয়াল সিস্টেমস), ড্রোন, হট এয়ার বেলুন, পাওয়ার হ্যাং গ্লাইডারের মতো অপ্রচলিত আকাশযানের নিরাপত্তাও বাড়াতে বলা হয়েছে।
এর মধ্যেই আজ মুম্বই বিমানবন্দরের টার্মিনাল-২-এর একটা অংশ বোমাতঙ্কের জন্য কিছু ক্ষণের জন্য খালি করে দিতে হয়। বিমানবন্দরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আজ সকাল এগারোটা নাগাদ তাঁদের কাছে একটি ফোন আসে যেখানে বলা হয়: ‘আগামী বারো ঘণ্টার মধ্যে মুম্বই বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক টার্মিনালে বিস্ফোরণ হবে’। তার পরেই বিভিন্ন বিমান সংস্থার অফিস এবং যাত্রীদের বিমানে ওঠা-নামার জায়গা খালি করে দেওয়া হয়।