বাঁকা জেলার বেলারি গ্রামের আটক বাসিন্দার নাম মহম্মদ রেহান।
পুলওয়ামা হামলায় জড়িত সন্দেহে বিহারের এক যুবককে আটক করল পুলিশ। বাঁকা জেলার বেলারি গ্রামের আটক বাসিন্দার নাম মহম্মদ রেহান। গত রাত থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এ ছাড়াও, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পুলিশ এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চায়নি। বাঁকার পুলিশ সুপার স্বপ্না জে মেশ্রাম বলেন, ‘‘একজনকে আটক করে জেরা করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।’’
তদন্তকারী দল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের দাবি। গোটা রাজ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গত কালই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা একটি মেল পায়। সেখানে রেহান ২০০১ সালে সংসদ হামলায় জড়িত ছিল বলে জানানো হয়। জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজাহারের সঙ্গে রেহানের যোগাযোগ আছে বলে তথ্য দেওয়া হয়। পুলওয়ামা হামলায় রেহানের হাত রয়েছে বলেও দাবি করা হয়। তার পরিবারের কোনও মহিলা সদস্য আত্মঘাতী বোমা হামলার প্রশিক্ষণ নিয়েছে বলেও ওই মেলে জানানো হয়। আগামী কাল পটনায় প্রধানমন্ত্রীর সভা। সেখানেও হামলার সম্ভাবনা রয়েছে বলে গোয়েন্দারা জানতে পারেন। গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, কয়েক কেজি আরডিএক্স সংগ্রহ করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত কাল থেকে বেলারি গ্রামে অভিযান চালানো হচ্ছে। রেহানের দুই বন্ধুকে খোঁজা হচ্ছে। তাদের এক জন মহম্মদ নৌশাদ। বাঁকা ও ভাগলপুরের রাজনৈতিক সভার ভিডিয়ো তুলে বিদেশে পাঠাতো সে। ঝাড়খণ্ডের দুমকাতে যোগাযোগ আছে তার। অতীতে অপরাধের রেকর্ড আছে নৌশাদের। ঘটনার পর থেকেই সে ও রেহানের আর এক বন্ধু পলাতক।
তবে স্থানীয় বাসিন্দারা রেহানকে আটকে জেরা করার বিরোধিতা করছেন। থানার সামনে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। স্লোগান দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে। পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে শান্ত করে তাদের। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রেহানের চারটি মোষ রয়েছে। দুধ বেচেই সংসার চলে রেহানের। তাঁরা কখনও রেহানকে এলাকার বাইরে যেতে দেখেননি।
রেহানের বাড়িতে ৭০ বছরের মা রয়েছেন। মা বদরুন্নিশাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। রেহানরা পাঁচ ভাই। দুই ভাই নাগপুরে এবং দুই ভাই সৌদি আরবে কাজ করেন। রেহানের স্ত্রী পরভিন মোষ দেখাশোনার কাজে সাহায্য করেন।