কাশ্মীরে হানার আগেই আটক পুণের মহিলা

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, একক প্রচেষ্টাতেই কাশ্মীরে প্রজাতন্ত্র দিবসে বড়সড় একটি হামলা করার পরিকল্পনা করেছিল আইএস ভাবধারায় বিশ্বাসী ওই মহিলা, গোয়েন্দাদের পরিভাষায় যাকে বলে ‘লোন উল্‌ফ’ মডেল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি ও শ্রীনগর শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:৪৭
Share:

কাশ্মীরে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে পুণের এক মহিলা ফিঁদায়ে জঙ্গি হামলা চালাতে পারে— দিন তিনেক আগে ওই বার্তা এসেছিল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের কাছে। তার পরে তল্লাশি চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে অনন্তনাগের কাছ থেকে জঙ্গি সন্দেহে এই মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, একক প্রচেষ্টাতেই কাশ্মীরে প্রজাতন্ত্র দিবসে বড়সড় একটি হামলা করার পরিকল্পনা করেছিল আইএস ভাবধারায় বিশ্বাসী ওই মহিলা, গোয়েন্দাদের পরিভাষায় যাকে বলে ‘লোন উল্‌ফ’ মডেল।

Advertisement

জানুয়ারির ২৩ তারিখে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের পক্ষে কাশ্মীর পুলিশকে সতর্ক করে জানানো হয়, প্রজাতন্ত্র দিবসে নাশকতার উদ্দেশ্যে পুণের এক মহিলা জঙ্গি দক্ষিণ কাশ্মীরে ঘাঁটি গেড়েছে। সেই তথ্য হাতে আসার পরেই তল্লাশি অভিযান শুরু করে রাজ্য পুলিশ। কাশ্মীর পুলিশের আইজি মুনির খান জানান, ‘‘গত কাল রাতে দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার বিজবেহারা এলাকা থেকে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে ওই মহিলার এক সঙ্গী ও একটি মারুতি গাড়িও আটক করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের ওই মহিলা কী কারণে কাশ্মীরে এসেছিল, তা নিয়ে বিস্তারিত মুখ খুলতে চায়নি কাশ্মীর পুলিশ। মুনির খান কেবল জানিয়েছেন— ওই মহিলার সঙ্গে কোন জঙ্গি গোষ্ঠীর সম্পর্ক রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, ধৃত ওই মহিলার নাম সাদিয়া আনোয়ার। গোয়েন্দারা কাশ্মীর পুলিশকে জানায়, মহারাষ্ট্রীয় ওই মহিলা অনন্তনাগ থেকেও বিদেশে থাকা আইএসের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল। ওই তরুণীকে মানববোমা হিসাবে ব্যবহার করে ভারতে তাদের উপস্থিতি জানান দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে আইএস। তাই মহিলাকে দ্রুত গ্রেফতার করার পাশাপাশি কাশ্মীরে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত সব মহিলাকে ভাল করে তল্লাশি করার পরামর্শ দেয় কেন্দ্র।

Advertisement

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, আইএসের সঙ্গে সম্পর্ক রাখায় ২০১৫ সালে পুণে কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়াকে এক বার আটক করেছিল মহারাষ্ট্র পুলিশের নাশকতা দমন শাখা। অভিযোগ, আইএস ভাবধারায় বিশ্বাসী এক জনের সঙ্গে যোগাযোগ হওয়ার পরে সে সময়ে সিরিয়ার যুদ্ধে অংশ নিতে ভারত ছাড়ার তোড়জোড় করছিল সাদিয়া। ধরা পড়ার পরে তাঁকে পুনর্বাসন শিবিরেও পাঠানো হয়। কিন্তু সেখান থেকে বেরোনোর পরেও সাদিয়া আইএসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলে। দেশের বাইরে আর যাওয়া সম্ভব নয় বুঝে কাশ্মীরে গিয়ে জেহাদে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করে সে। কিন্তু কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তৎপরতায় সে চেষ্টাও বানচাল হল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন