পহেলগাঁও কাণ্ডের নিন্দা করল কোয়াড। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন কোয়াড গ্রুপের সদস্য দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীরা। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের হত্যালীলা নিয়ে যৌথ বিবৃতি জারি করলেন তাঁরা। এই হত্যালীলার নেপথ্যে থাকা অভিযুক্তদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে কোয়াড।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘কোয়াড দ্ব্যর্থহীন ভাবে সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করে। সন্ত্রাসবাদবিরোধী সহযোগিতার প্রতি আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে যে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই।’’ তার পরেই বলা হয়েছে, ‘‘পহেলগাঁওয়ে ঘটা নিন্দনীয় কাজের নেপথ্যে থাকা অপরাধী, সংগঠক এবং অর্থায়নকারীদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছি। রাষ্ট্রপুঞ্জের সব সদস্য দেশকে এই বিষয়ে এগিয়ে আসতে বলছি।’’ পহেলগাঁওয়ে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন কোয়াডের সদস্যেরা।
ওয়াশিংটনে কোয়াড গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি— আমেরিকা, ভারত, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক চলছে। সেই বৈঠকে যোগ দিতে বর্তমানে ওয়াশিংটনে রয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। বৈঠকের আগে তিনি আবার এক বার সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সবর হয়েছেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘সন্ত্রাস নিয়ে আমাদের সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কিছু কথা বলা প্রয়োজন। বিশ্বকে সন্ত্রাস প্রসঙ্গে শূন্য সহনশীলতার নীতি নিয়ে চলতে হবে। সন্ত্রাসে মদতদাতা ও সন্ত্রাসের শিকারকে একই দৃষ্টিতে দেখা চলবে না। দেশবাসীকে সন্ত্রাসের হাত থেকে রক্ষা করার অধিকার ভারতের আছে। সেই অধিকার ভারত প্রয়োগও করবে। আমাদের আশা, কোয়াডের অংশীদারেরাও সে কথা বুঝবে।’’ তার পরেই কোয়াডের তরফে পহেলগাঁও নিয়ে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হল।
পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার স্মৃতি এখনও টাটকা। বৈসরন উপত্যকায় ঘুরতে আসা পর্যটকদের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল জঙ্গিরা। সেই হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। তাঁদের মধ্যে এক জন নেপালের বাসিন্দা। এই হামলার ঘটনায় পাক-যোগের কথা আগেই প্রকাশ্যে এসেছিল। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় হামলা চালানো জঙ্গিদের মধ্যে তিন জন পাকিস্তানি জঙ্গিকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। এক জন স্থানীয় জঙ্গিকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু ঘটনার পর থেকে সেই চার জঙ্গির কোনও হদিস মেলেনি।