তেজস্বীকে নিয়ে তুঙ্গে চাপানউতোর

লালুপ্রসাদ, রাবড়ীদেবীর বাড়িতে সিবিআই হানার সময় রাজগীরে ছিলেন নীতীশ। সে দিন থেকে এখনও পর্যন্ত ওই অভিযান নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য তিনি করেননি। জেডিইউয়ের ভিতরের খবর, সিবিআইয়ের খাতায় তেজস্বীর বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, তা জানার পর উপমুখ্যমন্ত্রীর কাছে জবাব চেয়েছিলেন নীতীশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পটনা শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৭ ০৩:৫৩
Share:

তেজস্বী যাদব। ছবি: সংগৃহীত

বাড়িতে সিবিআই হানা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যাখ্যা দিতেই হবে তেজস্বী যাদবকে— জেডিইউয়ের সাধারণ সম্পাদক কে সি ত্যাগীর এমন মন্তব্যে ফের স্পষ্ট হল নীতীশ কুমারেরই মনোভাব। সোমবার জেডিইউয়ের ওই নেতা বলেন, ‘‘মন্ত্রিসভার সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে সরকারের প্রধান হিসেবে জবাব চাইতেই পারেন মুখ্যমন্ত্রী। তা জানাতে সবাই বাধ্য।’’

Advertisement

লালুপ্রসাদ, রাবড়ীদেবীর বাড়িতে সিবিআই হানার সময় রাজগীরে ছিলেন নীতীশ। সে দিন থেকে এখনও পর্যন্ত ওই অভিযান নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য তিনি করেননি। জেডিইউয়ের ভিতরের খবর, সিবিআইয়ের খাতায় তেজস্বীর বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, তা জানার পর উপমুখ্যমন্ত্রীর কাছে জবাব চেয়েছিলেন নীতীশ। কিন্তু তাঁর কথা মানেননি লালু-তনয়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখাও করেননি। হাবেভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছেন কুর্সি ছাড়তে তিনি নারাজ। এতে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ নীতীশ।

জেডিইউ সূত্রে খবর, রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা লালুপ্রসাদের বড় ছেলে তেজপ্রতাপের আচার-আচরণ পছন্দ ছিল না নীতীশের। যাদব পরিবারের সরকারি বাসভবনে সিবিআই হানার খুঁটিনাটি জেনে উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বীর উপরও চটেছেন তিনি। ঘনিষ্ঠ মহলে সে কথা জানিয়েছেন। কয়েক দিন ধরে সংবাদমাধ্যমে দেখেছেন তেজস্বীর কথাবার্তা। দুর্নীতি নিয়ে ‘জিরো টলারেন্সে’ বিশ্বাস করেন নীতীশ। মন্ত্রিসভায় তেজস্বীকে রাখলে তার উপর আঁচ পড়তে পারে বলে মনে করেন তিনি। সে কারণেই তেজস্বীর পদত্যাগ চেয়ে সরব জেডিইউ।

Advertisement

প্রথমে কংগ্রেস লালুপ্রসাদকে সমর্থন করলেও, এখন নীতীশের যুক্তিও মেনেছে। পরবর্তী লোকসভা ভোটের আগে নীতীশের সঙ্গে রাজনৈতিক বিচ্ছেদ চান না সনিয়া গাঁধী। তাই তেজস্বীকে নিয়ে আরজেডি নেতৃত্বকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। শিবানন্দ তিওয়ারি থেকে রামাই রাম— সকলেই চাইছেন নীতীশের সঙ্গে কথা বলে মনোমালিন্য মিটিয়ে নিন লালুপ্রসাদ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন