গোমাংস বিতর্কে অস্বস্তিতে রাজনাথ

গরুর মাংস খাওয়া নিয়ে বিতর্কে এ বার অস্বস্তিতে পড়লেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। দলের নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভির নিদান ছিল, যাঁরা গরুর মাংস খেতে পছন্দ করেন, তাঁরা যেন পাকিস্তানে বা আরব দেশে নাগরিকত্ব নিয়ে চলে যান। তাঁদের ভারতে থাকার কোনও দরকার নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৫ ০৩:০৫
Share:

গরুর মাংস খাওয়া নিয়ে বিতর্কে এ বার অস্বস্তিতে পড়লেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।

Advertisement

দলের নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভির নিদান ছিল, যাঁরা গরুর মাংস খেতে পছন্দ করেন, তাঁরা যেন পাকিস্তানে বা আরব দেশে নাগরিকত্ব নিয়ে চলে যান। তাঁদের ভারতে থাকার কোনও দরকার নেই। দেশের নাগরিকের খাদ্যাভাস ঠিক করে দেওয়ার অধিকার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর রয়েছে কিনা, তা নিয়ে একপ্রস্ত সমালোচনার মুখে পড়ে শাসক শিবির। সেই বিতর্কে নতুন করে ঘি ঢালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভারই আর এক সদস্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কিরণ রিজিজু। চলতি সপ্তাহের শুরুতে আইজলে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলে বসেন, তিনি নিজে গরুর মাংস খান। তাঁর মতে, কে কী খাবেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত স্বাধীনতার বিষয়। এ নিয়ে কেউ কাউকে জোর করতে পারে না। বিজেপির এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মুখে এই কথা শুনে নতুন করে আলোড়ন পড়ে যায় সব মহলেই। সঙ্ঘ তথা দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছেও নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে হয় তাঁকে। তার পরেই ডিগবাজি খেয়ে রিজিজু বলেন, ‘‘আমি গরুর মাংস খাই না। সংবাদমাধ্যম আমার মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করেছে।’’

এ হেন রিজিজুকে পাশে বসিয়ে, মোদী সরকারের বর্ষপূর্তিতে আজ তাঁর মন্ত্রকের কাজকর্মের খতিয়ান দিচ্ছিলেন রাজনাথ। সাংবাদিকরা জানতে চান, নকভির নিদান মতো খাদ্যাভাসের কারণে কবে পাকিস্তানের নাগরিকত্ব নিচ্ছেন রিজিজু? নিজের মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দিকে এমন প্রশ্নবাণ উড়ে আসায় অস্বস্তিতে পড়ে যান রাজনাথ। বেশ কিছু ক্ষণ পরে মুচকি হেসে বলেন, ‘‘ভারতীয়রা ভারতেই থাকবে। তাদের কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই।’’ রাজনাথের মতে, বেশ কিছু রাজ্য গরুর মাংসের বেচাকেনা নিষিদ্ধ করেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে কোনও রাজ্যেই আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা হয়নি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন