ফাইল চিত্র।
নীতি আয়োগের অন্দরমহলের ছবিটা সুখের কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেল।
অরবিন্দ পানাগড়িয়া নীতি আয়োগের উপাধ্যক্ষের পদ ছেড়েছেন। নীতি আয়োগের কর্তাদের মতে, পানাগড়িয়া সরে দাঁড়ানোর পিছনে অন্যতম কারণ সিইও অমিতাভ কান্ত, অন্যতম সদস্য বিবেক দেবরায়ের সঙ্গে তাঁর বনিবনা না হওয়া। পানাগড়িয়ার পদে নরেন্দ্র মোদী সরকার অর্থনীতিবিদ রাজীব কুমারকে বেছে নিয়েছে।
কিন্তু দায়িত্ব নেওয়ার আগেই রাজীব এক নিবন্ধে লিখেছেন, মোদী সরকারের আমলে ভারতীয় নীতি নির্ধারণে বিদেশি প্রভাব ক্রমশ কমছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের পদ ছেড়ে রঘুরাম রাজন এবং তারপরে নীতি আয়োগ ছেড়ে পানাগড়িয়ার মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যাওয়া নিয়ে রাজীব লিখেছেন, দিল্লির গুজব সত্যি হলে আরও কিছু পদত্যাগ হতে চলেছে। রাজীবের এই নিবন্ধের পর নীতি আয়োগের অন্যতম সদস্য বিবেক দেবরায় আজ টুইটে ছড়ার আকারে লিখেছেন, হাওয়া মোরগ বলছে, বিদেশি প্রভাব কমছে। কিন্তু বিদেশের নোংরা টাকায় অনেকের হাতই ভরেছে। অনেকেরই মগজ ধোলাই হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, তিনি কার দিকে ইঙ্গিত করছেন? কারণ রাজীব নিজেও অক্সফোর্ডে গবেষণা করেছেন। বিদেশের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে কাজও করেছেন। বিবেক দেবরায়, মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রমণিয়ন, প্রিন্সিপ্যাল অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সঞ্জীব স্যান্যাল থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর ভিরাল আচার্য, কেউই তার ব্যতিক্রম নন।