প্রাসাদ তুমি কার, প্রশ্ন আম্মার বিদায়ে

সাড়ে ২১ হাজার বর্গফুটের প্রাসাদ। সেখানে লন মাত্র ১০টি! ঠিকানা- ৮১ পোয়েজ গার্ডেন, চেন্নাই-৮৬। বিশাল এই প্রাসাদের দাম খাতায় কলমে ৪৪ কোটি টাকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:৩১
Share:

পোয়েজ গার্ডেনে আম্মার অট্টলিকা

সাড়ে ২১ হাজার বর্গফুটের প্রাসাদ। সেখানে লন মাত্র ১০টি! ঠিকানা- ৮১ পোয়েজ গার্ডেন, চেন্নাই-৮৬।

Advertisement

বিশাল এই প্রাসাদের দাম খাতায় কলমে ৪৪ কোটি টাকা। কিন্তু রিয়েল এস্টেটের অঙ্ক কষা ধুরন্ধর লোকজনের মতে, এর বাজারমূল্য ১০০ কোটি টাকা পেরিয়ে যাবে।

আম্মার এই অট্টালিকা এখন সব জল্পনার কেন্দ্রে। তামিলনাড়ু জুড়ে ঘুরপাক খাচ্ছে একটাই প্রশ্ন। এই বিশাল প্রাসাদের মালিক এখন কে? কারণ উইল করে যাননি জয়লিলতা।

Advertisement

এডিএমকের নেতাদের ভিতরে মতভেদ যতই থাক, জয়ললিতার মৃত্যুর পরে রাজনৈতিক উত্তরাধিকার নিয়ে আপাতত জটিলতা দেখা দেয়নি। কিন্তু আম্মার বিশাল সম্পত্তির মালিক কে হতে পারেন, তা নিয়ে লড়াইয়ের সম্ভাবনা প্রবল। এক দিকে তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী শশিকলা নটরাজন। অন্য দিকে জয়ার ভাইঝি দীপা জয়কুমার ও তাঁর ভাই দীপক। কে পাবেন সম্পত্তির উত্তরাধিকার, তা নিয়ে সাধারণ মানুষ তো বটেই, দলের মধ্যেও উঠেছে প্রশ্ন।

২০১৬-র ২৫ এপ্রিল বিধানসভা ভোটের প্রার্থী হওয়ার সময়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামা দিয়েছিলেন জয়া। তাতে পোয়েজ গার্ডেনের অট্টালিকার কথা তো বটেই, আম্মা ঘোষণা করেছিলেন, চেন্নাই ও হায়দরাবাদ মিলিয়ে মোট চারটি বাড়ি ও ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর। সব মিলিয়ে এ সবের বাজারমূল্য ৭২ কোটি টাকারও বেশি বলে দাবি করেছিলেন তিনি। বাড়ি ছাড়াও অন্য সম্পত্তি ও নিজের ১৭ একর কৃষিজমির কথাও জানিয়েছিলেন জয়া। কিন্তু তাঁর টাকাপয়সা, সোনা-গয়নার হিসেব ছাপিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে তাঁর পোয়েজ গার্ডেনের বাড়িটিকে ঘিরেই। কারণ, অর্থমূল্যের থেকেও এখানে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে রাজনৈতিক উত্তরাধিকার। কারণ, এত দিন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু ছিল এই বাড়িটিই।

সেই কারণেই মঙ্গলবার জয়ললিতার শেষকৃত্যের পরে শশিকলা ফিরে গিয়েছেন পোয়েজ গার্ডেনের বাড়িতে। কাল শেষকৃত্যের সময়ও বান্ধবীর দেহ আগলে রেখেছিলেন তিনি। অনেকেরই ধারণা, ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকতে এ বার এই বাড়িটির কর্তৃত্ব নিজের হাতে রাখতে প্রবল চেষ্টা চালিয়ে যাবেন শশিকলা।

সংঘাত কি তা হলে পৌঁছতে পারে আদালতে? রাজনীতির কারবারিদের মত, সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আর এই প্রসঙ্গেই উঠে আসছে ইতিহাস। আম্মার রাজনৈতিক গুরু এমজিআরের মৃত্যুর পরে তাঁর চেন্নাইয়ের বাড়ির উত্তরাধিকার নিয়ে মামলা হয়েছে। তা এখনও ঝুলে রয়েছে। এমজিআর যদিও উইল করে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেটাও করে রেখে যাননি জয়ললিতা। সংঘাতের ক্ষেত্রটা জিইয়ে রেখেই চোখ বুজেছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন