রাহুলের নিশানায় মোদী-ভক্ত জেটলি

কিডনি প্রতিস্থাপনের পর বাড়ি ফিরে তিন মাস ঘরবন্দি ছিলেন অরুণ জেটলি। সংক্রমণের আশঙ্কায় একমাত্র এক জন নার্স ছাড়া কাছে যাওয়ার অনুমতি ছিল না আর কারও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:৪০
Share:

রাহুল গাঁধী। —ফাইল চিত্র।

কিডনি প্রতিস্থাপনের পর বাড়ি ফিরে তিন মাস ঘরবন্দি ছিলেন অরুণ জেটলি। সংক্রমণের আশঙ্কায় একমাত্র এক জন নার্স ছাড়া কাছে যাওয়ার অনুমতি ছিল না আর কারও। পরিবারের লোকেরা দূর থেকে মাত্র পাঁচ মিনিট দেখা করতে পারতেন। বাইরের জগতের সঙ্গে যোগ বলতে কাচের দেওয়ালের ওপার থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্স।

Advertisement

তখনও নিয়ম করে একটি কাজ করতেন অরুণ জেটলি। বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ চলে আসতেন তাঁর স্টেনোগ্রাফার। তাঁকে চৌকাঠের বাইরে রেখেই ‘ডিক্টেশন’ দিতেন। লিখতেন একের পর এক ব্লগ। নরেন্দ্র মোদীকে আড়াল করে আর রাহুল গাঁধীকে আক্রমণ করে। বিরোধীরা তাঁর নামই দিয়েছে ‘ব্লগ মন্ত্রী।’

নিতিন গডকড়ীর মতো নেতা নিরন্তর মোদী ও অমিত শাহের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছেন। রাজনাথ সিংহও বিজেপির বিক্ষুব্ধ অংশ ও বিরোধীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে মোদী-শাহের থেকে দূরত্ব তৈরি করছেন। সুষমা স্বরাজ আগেই জানিয়ে রেখেছেন, আর ভোটে লড়বেন না।

Advertisement

বিজেপির শীর্ষ নেতাদের প্রায় সকলেই যখন দূরত্ব তৈরি করছেন, সেই সময়ে শুধু জেটলিই যে মোদীর অনুগামী, সেটি নজর এড়াচ্ছে না বিরোধীদেরও।

কংগ্রেসের এক নেতা আজ বলেন, ‘‘মোদী ছাড়া একমাত্র জেটলিকেই আক্রমণ করছেন রাহুল। মেহুল চোক্সীর আইনজীবী হিসেবে জেটলির মেয়ের নাম আসার পর রাহুল তাঁকে ছাড়েননি। ছাড়েননি অন্য বিষয়েও। কিন্তু কেন জেটলিকে নিশানা করেন রাহুল? কারণ একমাত্র জেটলিই মোদীকে আড়াল করেন। রাজনাথ-সুষমারা আর এই কাজটি করেন না।’’

জেটলিকে ঘনিষ্ঠ ভাবে জানেন, এমন এক বিরোধী নেতার মতে, মোদী যখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় দিল্লিতে প্রবল ক্ষমতাশালী ছিলেন জেটলি। এক কথায়, দিল্লিতে মোদীর ‘বস’ও। কিন্তু মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে ধীরে ধীরে বদলে যায় ছবিটি। মোদী হয়ে যান তাঁর ‘বস’। জেটলি বুঝতে পারেন, এই বাস্তবতা মেনে নেওয়া ছাড়া গতি নেই। আর এখন এমন অবস্থা, শুধু অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্ব থাকলেও সব বিষয়েই মোদীকে আড়াল করেন জেটলি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন