মন্দির-মসজিদ, এক পথে মোদী-রাহুল

এ বছর কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়-সহ আটটি রাজ্যে বিধানসভা ভোট। সে দিকে তাকিয়ে চলছে ঘুঁটি সাজানোর পর্ব। মোদীর প্যালেস্তাইন সফরের পিছনে এ দেশের মুসলিমদের পাশে পাওয়ার চেষ্টা রয়েছে বলে মানছেন খোদ বিজেপি নেতারাই।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:০৮
Share:

ভোজন: দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে চা-পকোড়া খাচ্ছেন রাহুল। কর্নাটকের রায়চূড়ে। ছবি: পিটিআই।

এক জন রয়েছেন দলের প্রচারে কর্নাটকে। অন্য জন পর পর ঘুরছেন তিনটি দেশ। কিন্তু ভূগোলের দূরত্বকে পাশ কাটিয়ে এখন একই পথে নরেন্দ্র মোদী ও রাহুল গাঁধী। ভোটের টানে দু’জনেরই কনভয় বারবার পৌঁছচ্ছে মন্দির-মসজিদে। হাওয়া গরম করে তুলতে পরস্পরকে নিশানাও করছেন তাঁরা।

Advertisement

এ বছর কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়-সহ আটটি রাজ্যে বিধানসভা ভোট। সে দিকে তাকিয়ে চলছে ঘুঁটি সাজানোর পর্ব। মোদীর প্যালেস্তাইন সফরের পিছনে এ দেশের মুসলিমদের পাশে পাওয়ার চেষ্টা রয়েছে বলে মানছেন খোদ বিজেপি নেতারাই। আর প্যালেস্তাইন ছাড়া যে দু’টি দেশে পৌঁছেছেন মোদী, সেখানেও মন্দির-মসজিদে ঘুরে চলছে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়কে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা। আবু ধাবিতে হিন্দু মন্দিরের শিলান্যাস করেছেন তিনি। আর সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে ওমানে পৌঁছে মোদী আজ যান মাসকটের ১২৫ বছরের পুরনো শিব মন্দিরে। ভগবানের আশীর্বাদ যে অনুভব করছেন, টুইট করে জানালেনও সে কথা। মন্দির থেকেই প্রধানমন্ত্রী পৌঁছন ওমানের সব থেকে বড় ‘সুলতান কাবুস মসজিদ’-এ।

কর্নাটক সফরের তৃতীয় দিনে রাহুলও পৌঁছেছেন মন্দির-মসজিদের দরজায়। বিজেপিকে মেরুকরণের সুযোগ না দিতে, গুজরাতে ভোটের প্রচারের সময়ে মসজিদে যাননি রাহুল। কর্নাটকে সেই কৌশল বদলে ফেললেন তিনি। আজ দিনের শুরুতেই রাহুল পৌঁছন রায়চূড় জেলার শামস-ই-আলম মসজিদে। তার পরেই যান কোপ্পালের কনকাচালা লক্ষ্মী নরসিংহ মন্দিরে। পাঁচশো বছরের পুরনো মন্দিরে ১৫ মিনিট সময় কাটান তিনি। যাত্রাপথে কালামালা গ্রামের কাছে ‘মির্চি ভাজি’-র দোকানে দাঁড়িয়ে যান রাহুল। রাস্তার পাশে বসে চা-মুড়ির সঙ্গে পকোড়া খান। পকোড়া নিয়ে মোদীর মন্তব্যে তরজা যখন জমে উঠেছে, তখনই ঘটল এমন ঘটনা।

Advertisement

আরও পড়ুন: অযোধ্যা থেকে আজ ‘রামরাজ্য রথযাত্রা’

কর্নাটকে মন্দিরে মন্দিরে রাহুলের সফর নিয়ে আক্রমণে নেমেছে বিজেপি। বিএস ইয়েদুরাপ্পা তো এক কদম এগিয়ে মন্তব্য করেছেন, ‘জাভরি চিকেন’ খাওয়ার পরেই মন্দিরে গিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি। তবে রাহুল এ দিন জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি মন্দিরে যাবেনই। কারণ, মন্দিরে যেতে তাঁর ভাল লাগে।

আর রাহুলের সব সভাতেই নিশানায় ছিলেন মোদী। তাঁর দাবি, ‘‘মোদী সরকার শিল্পপতিদের ১ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ মকুব করেছে। কিন্তু চাষিদের কয়েক হাজার কোটি টাকা ধার মকুব করতে চায়নি।’’ দুর্নীতি নিয়েও প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেন তিনি। বলেন, ‘‘অমিত শাহের ছেলে জয় কী ভাবে তিন মাসে ৫০ হাজার টাকাকে ৮০ কোটি বানিয়ে ফেলল, মোদী জবাব দিন!’’ ওমানে মোদীও কংগ্রেস জমানার ‘দুর্নীতি’ নিয়ে আক্রমণ করতে ভোলেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন