Bharat Jodo Yatra

পূর্ব থেকে পশ্চিম, সেপ্টেম্বরে ফের ‘ভারত জোড়ো’

প্রথম ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরু হয়েছিল দক্ষিণ ভারতের কন্যাকুমারী থেকে। শেষ হয়েছিল উত্তরের শ্রীনগরে। প্রায় পাঁচ মাস ধরে চার হাজার কিলোমিটার যাত্রা চলেছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৩ ০৮:৩৩
Share:

ফের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরু করার পরিকল্পনা করছেন রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।

লোকসভা নির্বাচনের মাস ছয়েক আগে ফের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরু করার পরিকল্পনা করছেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, গত বছরের মতো এ বছরও সেপ্টেম্বর মাস থেকেই ‘ভারত জোড়ো’ শুরুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনের তখন আর ছ’মাস মতো বাকি থাকবে। সেই সময় দেশ জুড়ে নরেন্দ্র মোদী সরকার তথা বিজেপির বিরুদ্ধে হাওয়া তুলতেই দ্বিতীয় দফার ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরু করতে চাইছেন রাহুল।

Advertisement

প্রথম ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরু হয়েছিল দক্ষিণ ভারতের কন্যাকুমারী থেকে। শেষ হয়েছিল উত্তরের শ্রীনগরে। প্রায় পাঁচ মাস ধরে চার হাজার কিলোমিটার যাত্রা চলেছিল। এ বারের ভারত যাত্রা পূর্ব থেকে পশ্চিম ভারত পর্যন্ত চলবে। অরুণাচল প্রদেশের লোহিত জেলার পরশুরাম কুণ্ড থেকে শুরু হয়ে গুজরাতের পোরবন্দরে মোহনদাস কর্মচন্দ গান্ধীর জন্মস্থলে যাত্রা শেষ করার পরিকল্পনা চলছে। এ বারও মোটামুটি পাঁচ মাস সময়ে তিন হাজার কিলোমিটারের বেশি যাত্রা চলবে।

কংগ্রেস সূত্রের ব্যাখ্যা, এক দিকে বিজেপি-বিরোধী দলগুলিকে এককাট্টা করে ‘ইন্ডিয়া’ জোট তৈরি হচ্ছে। সেই সঙ্গে মোদী সরকার তথা বিজেপির বিরুদ্ধে হাওয়া তোলাও জরুরি। রাহুল গান্ধীর প্রথম ‘ভারত জোড়ো যাত্রার’ মূল বার্তা ছিল, মোদী সরকার তথা বিজেপির বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে দেশকে এককাট্টা করা। সেই সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্বের সমস্যা নিয়ে মোদী সরকারকে প্রশ্নের মুখে ফেলা। এ বার তার সঙ্গে ‘ভারত জুড়েগা, ইন্ডিয়া জিতেগা’ মন্ত্র নিয়ে বিজেপিকে হারিয়ে বিরোধী জোটকে জেতানোর ডাক দেওয়া হবে।

Advertisement

রাহুলের এই ভাবনার প্রতিধ্বনি আজ শোনা গিয়েছে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার কণ্ঠেও। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে জন আক্রোশ র্যাগলিতে প্রিয়ঙ্কা এক দিকে বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোটের হয়ে সওয়াল করেছেন। অন্য দিকে আবার তিনি মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বই যে আসল বিষয়, সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন। প্রিয়ঙ্কার অভিযোগ, বিরোধীদের বৈঠক হতেই প্রধানমন্ত্রী সব বিরোধী নেতানেত্রীদের চোর বলছেন। এত বড় বড় নেতা, বিভিন্ন রাজ্যের শীর্ষ নেতানেত্রী, যাঁরা আজীবন দেশের জন্য লড়াই করেছেন, জনতার সমস্যা নিয়ে রাজনীতি করেছেন, তাঁদের প্রধানমন্ত্রী এক ঝটকায় চোর বলে দিয়ে অপমান করছেন।

প্রধানমন্ত্রী মণিপুর নিয়ে নীরবতা থেকে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান নিয়ে কটাক্ষ করে প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘আমি চাইলে ৩০ মিনিটের বক্তৃতায় ১০ মিনিট প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করতে পারি। তার পরে ১০ মিনিট মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান কত নাটক করেন, দুর্নীতি করেছেন, তা বলতে পারি। শেষের ১০ মিনিট সিন্ধিয়া কী ভাবে মতাদর্শ বদলে ফেললেন, সেটা বলতে পারি। কিন্তু আমজনতার জন্য সবথেকে বড় বিষয় হল মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্ব।’’

কংগ্রেস সূত্রের ব্যাখ্যা, সেপ্টেম্বর থেকে দ্বিতীয় দফার ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরু হলে ওই সময় রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হবে। তা মাথায় রেখেই যাত্রার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ভৌগোলিক কারণে পুরোটা পদযাত্রা না করে কিছুটা রাস্তা অন্য পরিবহণ ব্যবহার করা হতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন