জন্মানোর পরে রাহুলকে প্রথম কোলে নেন তিনি

রাজাম্মার সঙ্গে রাহুলের সম্পর্ক আজকের নয়। ইন্দিরা গাঁধীর পৌত্রের জন্মের সাক্ষী তিনি। ৪৯ বছর আগে দিল্লির হোলি ফ্যামিলি হসপিটাল-এ সদ্যোজাত রাহুলকে দু’হাতে ধরেছিলেন রাজাম্মা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়েনাড শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৯ ০২:২৫
Share:

আদর: রাজাম্মাকে আলিঙ্গন রাহুল গাঁধীর। রবিবার ওয়েনাডে। ছবি: পিটিআই

আর দশ দিন পরেই তাঁর জন্মদিন। ৪৯-এ পা দেবেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। তার আগে ওয়েনাড সফরে এসে রাহুল দেখা করে গেলেন ৭২ বছর বয়সি অবসরপ্রাপ্ত নার্স এবং ওয়েনাডের ভোটার রাজাম্মা ভাভাতিলের সঙ্গে। জড়িয়ে ধরে ছবি তুললেন তাঁর সঙ্গে। হাসিমুখে হাত ধরে কাছে গেলেন। সে ছবি পোস্টও করলেন তাঁর ওয়েনাডের টুইটার অ্যাকাউন্টে।

Advertisement

রাজাম্মার সঙ্গে রাহুলের সম্পর্ক আজকের নয়। ইন্দিরা গাঁধীর পৌত্রের জন্মের সাক্ষী তিনি। ৪৯ বছর আগে দিল্লির হোলি ফ্যামিলি হসপিটাল-এ সদ্যোজাত রাহুলকে দু’হাতে ধরেছিলেন রাজাম্মা। তখন তিনি শিক্ষানবীশ নার্স। রাহুলের দেখভালের ভার ছিল তাঁর উপরেই। এই সব অভিজ্ঞতা আজ ফের রাহুলকে বলেছেন রাজাম্মা। মন দিয়ে তাঁর প্রতিটি কথা শুনেছেন রাহুল। তাঁর জন্মের আগে তাঁর বাবা রাজীব গাঁধী এবং কাকা সঞ্জয় গাঁধী লেবার রুমের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। সনিয়া গাঁধীকে তখন নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেখানে— রাজাম্মার মনে রয়েছে প্রতিটি মুহূর্তই।

লোকসভা নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন কংগ্রেস সভাপতির নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপি নেতা ও রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। সেই সময়ে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে এগিয়ে এসেছিলেন রাজাম্মাই। তিনি স্পষ্ট বলেছিলেন, রাহুল গাঁধীর নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার কারও নেই। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে ফোনে তখন তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি সেই ভাগ্যবানদের এক জন, ওকে প্রথম কোলে তুলেছিলাম। কী মিষ্টি ছেলেটা। ওর জন্মের সাক্ষী আমি। আমরা সবাই তখন উত্তেজিত, ইন্দিরা গাঁধীর নাতিকে দেখছি!’’ বিজেপি নেতার অভিযোগে ব্যথিত হয়ে পড়েছিলেন তিনি।

Advertisement

৪৯ বছর পরে তাঁর দেখা সেই মিষ্টি ছেলে তাঁরই দোরগোড়ায়! দৃশ্যতই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন রাজাম্মা। সাংবাদিকদের পরে তিনি বলেন, ‘‘খুব ভাল লাগছে। আমিই প্রথম ওকে কোলে তুলে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। সব স্মৃতি এক ঝটকায় মনে ফিরে এসেছে ওকে দেখে।’’

১৯৮৭ সালে স্বেচ্ছাবসর নিয়ে রাজাম্মা দিল্লি থেকে ফিরে এসেছিলেন কেরলের কল্লুরে। ওয়েনাডে সুলতান ব্যাতারির কাছেই কল্লুর। ফেরার পর থেকে গৃহকর্ত্রীর ভূমিকাই পালন করছেন তিনি। রাহুল তাঁর তিন দিনের ব্যস্ত সফরসূচির মধ্যে সময় বার করে দেখা করেছেন বলে কৃতজ্ঞ রাজাম্মার গোটা পরিবার। রাজাম্মার পাশাপাশি রাহুল বাড়ির বাকিদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। ছিলেন রাজাম্মার স্বামী এবং নাতি-নাতনি। রাজাম্মা বলেছেন, ‘‘ওকে কিছু উপহার দেওয়া উচিত, মনে হয়েছিল আমার। তাই আমার হাতে বানানো চিপস্ আর মিষ্টি দিলাম।’’ রাহুল তাঁর বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার সময় রাজাম্মা তাঁকে কাঁঠালের চিপস্ আর মিষ্টি হাতে ধরিয়ে দেন। রাজাম্মা জানিয়েছেন, রাহুল তাঁকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আবার আসবেন তাঁর বাড়িতে।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন