রাহুল গাঁধী।
গা লাগিয়ে কাজ না করলে রেয়াত করবেন না। ভাল কাজ করলে মিলবে পুরস্কার। কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে কী ভাবে ভাবে দল চালাতে চান, রাহুল গাঁধী আজ গুজরাতে গিয়ে তা স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন। সেই সঙ্গে দিলেন আরও একটি বার্তা। তা হল, ‘ভোটের পাখি’ হতে রাজি নন তিনি। দলের নেতা-কর্মীদেরও তাই মাটি কামড়ে কাজ করতে হবে বছরভর।
বাংলার মাটিতে একটি পুজো যেতেই কর্মকর্তারা যেমন পরের পুজোর প্রস্তুতি শুরু করে দেন, কার্যত এ-ও প্রায় তেমনই। সভাপতি পদে দায়িত্ব নেওয়ার পরে এটাই রাহুলের প্রথম গুজরাত সফর। কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতারা সাধারণত ভোটের আগে রাজ্যে যান প্রচারে। পরে আর যান না। সেই ভুল শোধরাতে চান রাহুল। উল্টে বুঝিয়েছেন, তিনি রাশ আলগা করবেন না। যে ভাবে ভোটের আগে তিন-চার মাস দলের নেতাদের দৌড় করিয়েছেন, তেমনই করবেন। বলেছেন, ‘‘মাঝে মধ্যেই আসব।’’
নরেন্দ্র মোদীকে কাল চড়া সুরে আক্রমণ করেছেন মিথ্যাচার নিয়ে। আজ গুজরাতে যাওয়ার আগে রাহুল টুইট করেন, ‘‘বিজেপির চলচ্চিত্র ব্যবসা থাকলে তার নাম হতো ‘লাই হার্ড...।’’ পরে গুজরাতে গিয়েও বলেন, ‘‘ভোটে আমরা হেরেছি। আবার জিতেছি-ও। ওদের কাছে সব ছিল। অর্থ, পুলিশ, নানা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, শিল্পপতি। আমাদের সঙ্গে ছিল শুধু সত্য।’’ এখানেই না থেমে পরের ভোটের লক্ষ্যমাত্রাও বেঁধে দেন রাহুল। মনোবল বাড়াতে বলেন, ‘‘পরের ভোটে কংগ্রেস ১৩৫টি আসন পাবে। আমাদের যে নেতারা বিধানসভায় গিয়েছেন, দেখে নেবেন, তাঁরাই পরের ভোটের পর গুজরাতে সরকার চালাবেন।’’
দলকে চাঙ্গা করতে আজ একের পর এক টোটকা দিয়েছেন রাহুল। বলেছেন, ‘‘আমার চ্যালেঞ্জ ছিল, এটা বোঝানো যে গুজরাতে কংগ্রেস যদি মনে করে তারা জিততে পারে, তা হলেই জিতে যাবে। ১০০%-কে বিশ্বাস করাতে পারিনি। কিন্তু ৭০%-এর মনে বিশ্বাস জন্মেছিল। তার ফল দেখেছেন। দলে আত্মবিশ্বাস ফিরে এসেছে।’’ গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন হল হাততালিতে ফেটে পড়েছে রাহুলের কথা শুনে।