ফোনে কথা হল মমতা ও রাহুলের

মমতা যখন দিল্লি এসেছিলেন, তখন রাহুল ব্যস্ত ছিলেন কর্নাটকের প্রচারে। সনিয়ার সঙ্গে দেখা করতে মমতা ১০ জনপথে গেলেও কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে তাঁর দেখা হয়নি।

Advertisement

জয়ন্ত ঘোষাল

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:০৯
Share:

রাহুল গাঁধী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করলেন রাহুল গাঁধী। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনার বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুরে তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছে। তবে সেই প্রসঙ্গ ছাপিয়ে রাহুল-মমতার এই সরাসরি কথা মোদী-বিরোধী রাজনীতিতে অনেক ভুল বোঝাবুঝির জট খুলে দিয়েছে।

Advertisement

মমতা যখন দিল্লি এসেছিলেন, তখন রাহুল ব্যস্ত ছিলেন কর্নাটকের প্রচারে। সনিয়ার সঙ্গে দেখা করতে মমতা ১০ জনপথে গেলেও কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে তাঁর দেখা হয়নি।

গত কাল রাহুল ফোন করে ইমপিচমেন্টের বিষয়ে মমতার মতামত জানতে চান। এই প্রস্তাব আনার জন্য শরদ পওয়ার চাপ দিয়েছিলেন। কংগ্রেসও সায় দিয়েছিল। দিল্লিতে মমতা বলেছিলেন, সব দল যদি চায়, তবেই তৃণমূল একে সমর্থন করবে। কিন্তু তৃণমূল এখনও সেই প্রস্তাবে সই না করায় মমতাকে ফোন করেন রাহুল। রাজধানীর কংগ্রেস সূত্রের মতে মমতা রাহুলকে জানিয়েছেন, আইনজ্ঞদের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে ইমপিচমেন্ট
প্রস্তাব আনা যায়। কিন্তু রাজনৈতিক বিষয়ে থাকলে তা ধোপে টেকা
কঠিন। এখন একজোট হয়ে বিরোধীরা এই প্রস্তাব এনে যদি হেরে যায়,
তা হলে লোকসভা ভোটের আগে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে। এ বিষয়ে ডিএমকে নেতা এম কে স্ট্যালিনের সঙ্গেও কথা বলেছেন মমতা। ডিএমকে তাঁর সঙ্গে সহমত। মমতার মত স্বীকার করে নিয়েছেন রাহুলও। তাঁকে জানিয়েছেন, তৃণমূল, ডিএমকের প্রতি আস্থা রেখে কংগ্রেস এই রাস্তা থেকে সরে আসবে।

Advertisement

কংগ্রেস সূত্র বলছে, ইমপিচমেন্ট প্রসঙ্গে মমতা-রাহুল কথা হলেও এই মুহূর্তে সেটা প্রধান ব্যাপার নয়। আসল কথা হল, দু’জনের মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলা এবং মোদী-বিরোধী লড়াইয়ে পরস্পরের কাছাকাছি আসা। তৃণমূল নেত্রীর দিল্লি সফরের সময়ে বিজেপি মমতার প্রস্তাবিত ফেডারাল ফ্রন্টের সঙ্গে কংগ্রেসের ঝগড়া বাধানোর চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে।

কংগ্রেস নেতা আহমেদ পটেল আজ বলেন, ‘‘মমতা কখনওই শরদ পওয়ারকে কংগ্রেসের সঙ্গ ছেড়ে তাঁর প্রস্তাবিত ফ্রন্টে যোগ দিতে বলেননি। আর প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রশ্নেও মমতা বা কংগ্রেস কেউই একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। এটা বিজেপির অপপ্রচার। আমরা নিশ্চিত ২০১৯-এ মোদী-বিরোধী ফ্রন্ট একটাই থাকবে এবং আমরাই জিতব।’’ মমতার ঘনিষ্ঠ মহল বলছে, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিরোধী জোটের কথা তিনি কখনও ভাবেননি। এই প্রেক্ষাপটেই রাহুল-মমতার সরাসরি তাৎপর্যপূর্ণ।

এ দিকে তৃণমূল সূত্রের খবর, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারকে অগ্রাধিকার দিতে চেন্নাই সফর আপাতত স্থগিত করেছেন মমতা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন