কী করছেন নেতারা, ভিডিয়োয় জানবেন রাহুল

কংগ্রেস সভাপতি যাতে নিয়মিত সংগঠনের বাকি নেতাদের সঙ্গে যে কোনও জায়গায় বসে কথা বলতে পারেন, তার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ভিডিয়ো কনফারেন্সিং-এর পরিকাঠামো তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসকে।

Advertisement

সন্দীপন চক্রবর্তী

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৮ ০২:০৪
Share:

শুধু নির্দেশ জারি করেই হাত ধুয়ে ফেলা নয়। রাজ্যে এবং জেলায় জেলায় দল কেমন কাজ করছে, তার নজরদারিও করবেন রাহুল গাঁধী। কাজের খতিয়ান দিতে রাজ্যের নেতাদের কথায় কথায় দিল্লি দৌড়তেও হবে না। প্রদেশ কংগ্রেস দফতরেই দলের সর্বভারতীয় সভাপতির প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে রাজ্য ও জেলা নেতাদের।

Advertisement

কংগ্রেস সভাপতি যাতে নিয়মিত সংগঠনের বাকি নেতাদের সঙ্গে যে কোনও জায়গায় বসে কথা বলতে পারেন, তার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ভিডিয়ো কনফারেন্সিং-এর পরিকাঠামো তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসকে। এআইসিসি-র সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অশোক গহলৌতের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রদেশ দফতরে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে ভিডিয়োয় কনফারেন্সে কথা বলবেন রাহুল। সেই সঙ্গে ডাকা হবে জেলার নেতাদেরও। জেলায় যে হেতু এখন সেই পরিকাঠামো নেই, তাই যে বার যার পালা হবে, সেই জেলার কংগ্রেস নেতাদের প্রদেশ দফতরে হাজির থাকতে হবে। এআইসিসি-র নির্দেশিকা অনুযায়ী, যে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট আসন্ন, সেখানে এক সপ্তাহ এবং অন্যান্য সব রাজ্যে দু’সপ্তাহের মধ্যে ভিডিয়ো কনফারেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় হার্ডঅয়্যার ও সফ্‌টঅয়্যার লাগিয়ে ফেলতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইতিমধ্যেই বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ভি়ডিয়ো কনফারেন্সে কথা বলছেন। তা ছাড়াও, বিজেপির রয়েছে ‘মোদী অ্যাপ’। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের ব্যাখ্যা এবং কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকেন মোদী। কংগ্রেস সভাপতির উদ্যোগ অবশ্য মূলত সাংগঠনিক। দলীয় স্তরে যে সব কাজ বেঁধে দেওয়া হচ্ছে, তার রূপায়ণ কত দূর এবং তাতে সুবিধা-অসুবিধার কথা রাজ্য ও জেলা নেতাদের কাছ থেকে শুনতে চান রাহুল। কংগ্রেসে এমন উদ্যোগ এই প্রথম।

Advertisement

তেলঙ্গানা প্রদেশ কংগ্রেসের তথ্যপ্রযুক্তি শাখার প্রধান মদন মোহন রাওকে সব রাজ্যে ভিডিয়ো কনফারেন্সিং-এর ব্যবস্থা দেখভাল করার দায়িত্ব দিয়েছে এআইসিসি। পরিকাঠামো তৈরির খরচ এবং প্রথম দফায় প্রয়োজনীয় বিশেষ কর্মীর (যাঁরা এসে যন্ত্রপাতি বসিয়ে যাবেন) ব্যবস্থাও করছে এআইসিসি। রাওয়ের বক্তব্য, ‘‘মাসে এক বার করে সব রাজ্যে দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে চান সভাপতি। সশরীর সব জায়গায় বারবার পৌঁছনো তো সম্ভব নয়। তাই এমন ভাবেই ব্যবস্থা রাখা হবে, যাতে সভাপতি চাইলে মধ্যপ্রদেশে বসে বাংলা বা তেলঙ্গানার সঙ্গে কথা বলতে পারেন। দিল্লির সদর দফতর তো আছেই।’’

হাইকম্যান্ডের নির্দেশ পাওয়ার পরে কলকাতায় বিধান ভবনের তিন তলার হলে বসছে ৬০ ই়ঞ্চির প্রকাণ্ড এলইডি স্ক্রিন। পর্দার সামনে অন্তত ৫০ জনের বসার ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। সেইমতোই কাজ চলছে বিধান ভবনে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের কথায়, ‘‘আমাদের সব ব্যবস্থা তৈরি। কমিউনিকেশন সেলের অমিতাভ চক্রবর্তী বিষয়টি দেখছেন। এআইসিসি-র প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞেরা এসে দেখবেন, তার জন্য অপেক্ষা করছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন