বন্যা পরিস্থতি খতিয়ে দেখতে কেরলের ওয়েনাড়ে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। পিটিআই
কেরলের বন্যায় শনিবার সন্ধে পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৭। টানা এক সপ্তাহ ধরে ভারী বৃষ্টিতে রাজ্য জুড়ে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল। শনিবার বৃষ্টি একটু কমলেও রবিবার থেকে ফের ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এই অবস্থায় কেন্দ্রের সাহায্য চেয়ে শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। বন্যা কবলিত কেরলের দুর্গতির কথা তুলে ধরে তিনি জানিয়েছেন, গত পাঁচ দশকে এটি রাজ্যের সবচেয়ে বড় বিপর্যয়। পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে আজ, রবিবার কেরলে পৌঁছবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
পাশাপাশি, টুইটারে দলীয় কর্মীদের কোমর বেঁধে উদ্ধার কাজে নেমে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি। কেরলে দলের প্রতিটি সদস্য-কর্মীর প্রতি তাঁর নির্দেশ, ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ান। রাহুল জানিয়েছেন, ভারী বৃষ্টি ও বন্যার জেরে গত কয়েক মাসে পার্বত্য ও উপকূলীয় কেরলে অন্তত ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মৎস্যজীবী পরিবারগুলি। ভেঙে পড়া পরিকাঠামোর পুনর্গঠনে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে কেন্দ্রকে পর্যাপ্ত ত্রাণ পাঠানোর আর্জি জানান তিনি।
বৃষ্টিতে বাঁধগুলিতে অতিরিক্ত জলের চাপ কমাতে ২৪টি বাঁধের লকগেট খুলে দেওয়ায় ইদুক্কি, ওয়েনাড়, কোট্টায়াম, আলাপুঝা, এর্নাকুলাম এবং কোঝিকোড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা এখন জলের তলায়। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ইদুক্কির। ভেসে গিয়েছে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট। কোনও কোনও এলাকায় ত্রাণ পৌঁছনোই কঠিন হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দুর্গত এলাকাগুলির উপরে আকাশপথে নজরদারির কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: রাফাল অস্ত্রেই প্রচারে রাহুল
ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ তহবিলে শনিবার ১ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। পাশাপাশি সাহায্য আসছে অন্য রাজ্য থেকেও। পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী এ দিন ১ কোটি টাকা সাহায্য করার কথা ঘোষণা করেন। শুক্রবারই কেরলকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।