Chief Information Commissioner

প্রধানমন্ত্রীর দফতরে গিয়ে মোদী এবং শাহের সঙ্গে আলোচনায় রাহুল! দেড় ঘণ্টা ধরে কী নিয়ে কথা? সংসদ ভবনে জল্পনা

সংসদের শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন দেশের শাসক ও বিরোধী দলের তিন শীর্ষনেতার এই দীর্ঘ বৈঠক রাজনৈতিক শিবিরে উত্তেজনার আঁচ বাড়িয়েছে। বুধবার বিকেলে সংসদ ভবনেও বিভিন্ন দলের সাংসদদের মধ্যেও তা আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:৫৯
Share:

(বাঁ দিক থেকে) নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ এবং রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।

বুধবার ৮৮ মিনিট ধরে বৈঠক করলেন ওঁরা তিন জন— প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। আর তা নিয়েই জল্পনা ছড়িয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে।

Advertisement

সরকারি সূত্র জানাচ্ছে, কেন্দ্রীয় মুখ্য তথ্য কমিশনার এবং আট তথ্য কমিশনার নিয়োগের পাশাপাশি পরবর্তী ভিজিল্যান্স কমিশনার নিয়োগের বিষয়ে আলোচনার জন্য সাংবিধানিক বিধি মেনেই বৈঠকে বসেছিলেন ওঁরা তিন জন। কিন্তু সংসদের শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন দেশের শাসক ও বিরোধী দলের তিন শীর্ষনেতার এই দীর্ঘ বৈঠক রাজনৈতিক শিবিরে উত্তেজনার আঁচ বাড়িয়েছে। বুধবার বিকেলে সংসদ ভবনেও বিভিন্ন দলের সাংসদদের আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছিল এই বৈঠক।

মোদীর জমানায় পরিবর্তিত আইন অনুযায়ী মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের মতোই মুখ্য তথ্য কমিশনার, তথ্য কমিশনার এবং ভিজিল্যান্স কমিশনার নিয়োগের কমিটিতে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রী মনোনীত একজন মন্ত্রী। কমিটির বৈঠক ডাকবেন প্রধানমন্ত্রী। কমিটির বৈঠকে গৃহীত নাম যাবে রাষ্ট্রপতির কাছে। তিনিই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করবেন। তথ্যের অধিকার আইনের ১২(৩) ধারা মেনেই প্রধানমন্ত্রী বৈঠক ডেকেছিলেন বলে সরকারি সূত্রের খবর। সেখানে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সে বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি সরকার।

Advertisement

তথ্যের অধিকার আইন অনুসারে, আরটিআই আবেদনের জবাবে সরকারি কর্মকর্তাদের ‘অসন্তোষজনক প্রতিক্রিয়া’র বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ এবং আর্জি পর্যালোচনা করার দায়িত্ব মুখ্য তথ্য কমিশনার এবং ১০ জন তথ্য কমিশনারের। কিন্তু বর্তমানে মাত্র দু’জন তথ্য কমিশনারকে ওই কাজ সামলাতে হচ্ছে। গত সেপ্টেম্বরে হরেলাল সামারিয়া অবসর নেওয়ার পরে মুখ্য তথ্য কমিশনারের পদটিও খালি রয়েছে। ফলে জমে গিয়েছে প্রায় ৩১ হাজার আবেদন। বুধবার সেই শূন্যস্থানগুলির পূরণের উদ্দেশ্যে মোদীর দফতরে দুপুর ১টা ৭মিনিট থেকে বৈঠক শুরু হয়। রাহুল তার মিনিট সাতেক আগেই পিএমও-তে পৌঁছে যান। প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষে সংসদ ভবনে ফিরে বক্তৃতা করেন শাহ। সেখানে রাহুলের মঙ্গলবারের পাঁচ দফা অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে ভোটচুরির অভিযোগ তোলেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement